যুদ্ধং দেহি


( বিশিষ্ট তামিল ভাষী কবি রবিকুমারকে নিবেদিত)


যুদ্ধ শুরু হবার মুখে
যুযুধান দুই পক্ষ রণসাজে সজ্জিত
শুধু ভেরী বাজার অপেক্ষা মাত্র
এমন সময় হাঁপাতে হাঁপাতে ছুটে এলেন
মার্টিন লুথার কিং। বললেন,
আরে ভাই, করছো কি ?
দুপক্ষ থেকেই রব উঠল—
হতচ্ছাড়া , দেখতে পারছো না,
যুদ্ধ করছি?
লুথার হতাশ হয়ে বললেন, কিন্তু কেন?
সকলে সমস্বরে বলে উঠলো
ভবিষ্যৎ, ভবিষ্যৎ !!!
নতুন ভবিষ্যৎ গড়বো বলে।
মার্টিন ততোধিক অবাক কণ্ঠে বললেন ,
যুদ্ধের ছেনি, হাতুড়ি দিয়ে ভবিষ্যৎের মূর্তি ?
এমন প্রশ্নে যখন সকলে হাল্লার রাজার সেনার মতো থেবড়ে বসে পড়ল
কোথা থেকে একজন ট্রাকচালক
হাতে কয়েকহাজার বছরের পুরোনো একটা বই নিয়ে ছুটতে ছুটতে হাজির।
সে চিৎকার করে বলল,
আছে , আছে এতে সব উত্তর আছে।
তারপর সে শোনাতে লাগল
আসলে তোমরা কেউ নও
সব হচ্ছি আমি
মন খারাপ করোনা যুদ্ধ শুরু করো।
ব্যাস অমনি শুরু হলো যুদ্ধ !
যুদ্ধে প্রথম প্রাণ গেল  যার
তার নাম সত্য !
দিনের শেষে দুপক্ষের হাজার প্রাণ হানির পর
সেদিনের মতো বিরতি ঘোষিত হলো।
সব লাশ সনাক্ত করে
তাদের দাবিদারদের সমর্পণ করা হলো।
সত্যের কোনো  দাবিদার পাওয়া গেল না।
যুদ্ধের শেষ দিন পর্যন্ত
সৎকার হীন সত্য যুদ্ধ ক্ষেত্রেই পড়ে পড়ে পচতে লাগল।
কেউ খেয়ালই করলো না
কখন যেন সেই বেওয়ারিশ লাশ
ধীরে ধীরে একটা টাইম বোমা হয়ে উঠছে !
অবশেষে একদিন যুদ্ধ শেষে
নতুন ভবিষ্যৎ গড়া হয়ে গেলে
হঠাৎ ভীষণ তেজে বিস্ফোরিত হলো
চুরমার হয়ে গেলো নতুন ভবিষ্যৎ