Let all the souls here rest in peace. For we shall not repeat the evil.


---Hiroshima inscription


Kaizer Wilhelm II , Kaiser Franz Joseph কে  প্রথম  বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে  লিখেছিলেন,


মহামান্য কাইজার মহাশয়,
সব কিছু জ্বালিয়ে দিতে হবে
যা কিছু জীবন্ত আছে সব কচুকটা করতে হবে
স্ত্রী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ নির্বিশেষে হত্যা করুন
নিশ্চিত করুন
মাটির উপর একটা অট্টালিকাও যেন দাঁড়িয়ে না থাকে
একটা গাছও পর্যন্ত যেন মাটির উপর খাড়া না থাকে
এই নারকীয় ঘটনাটা একবার ঘটিয়ে দেখুন
আমি নিশ্চিত করছি
আগামী দু'মাসে সব যুদ্ধ খতম হয়ে যাবে
এই জঘন্য নরকীটদের শিক্ষা দেবার
এর থেকে ভালো পদ্ধতি
আজ অবধি কেউ আবিষ্কার করতে পারেনি !


এর উত্তর কি ছিল জানা নেই।
তবে হতেও পারে সেটা ছিল---


মহামান্য কাইজার মহাশয়,
আপনার পত্রের জন্য ধন্যবাদ।
আপনি নিশ্চিত থাকুন
এই কর্মকান্ড নির্বিঘ্নে সমাধা করার
সব ব্যবস্থাই করা আছে।
আমি শুধু মনুষ্যত্ব না কি যেন একটা ব্যাপার আছে
সেটা নিয়েই একটু চিন্তায় আছি।
আপনি কি এ ব্যাপারে কিছু ভেবেছেন ?


হতেও পারে প্রত্যুত্তরটা ছিল---


মহামান্য কাইজার মহাশয়,
যদি মনুষ্যত্ব বলে সত্যিই কিছু থাকে
তাহলে এর পরেও  কি  তা বেঁচেবর্তে থাকবে ?
যদি থাকেও, আপনি নিশ্চিত থাকুন
আমরা জয়ীরা তখন আইন করে
পরাজিতদের যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করবো
মনুষ্যত্বের মৃত্যু দন্ড দেব।
জয়ীর অসাধ্য কোনো কাজ নেই !


আর এ কথা শুনে পরের বিশ্বযুদ্ধে
অতি উৎসাহী অন্য এক প্রেডিডেন্ট বললেন,


তবে তাই হোক !
এক কলির কৃষ্ণ বোতাম টিপলেন
আর ব্রহ্মার নাভিকুম্ভ থেকে
ফুটো উঠলো ব্রহ্মকমল
কি আশ্চর্য !
কৃষ্ণও বিষন্ন বোধ করলেন
বিড় বিড় করে বলে ফেললেন
আমার হাত রক্তাক্ত
প্রেসিডেন্ট বললেন,
এই হতচ্ছাড়াটার  মুখ দেখতে চাই না।
বিদ্ধস্ত কৃষ্ণ বললেন,
কাল অস্মি লোকক্ষয় কৃতিপ্রবৃদ্ধ
আমিই মৃত্যু, আমিই ধ্বংস !!!


ধ্বস্ত কুরুক্ষেত্রে বসলো বিচার সভা
তৈরী হলো যদ্ধ-আইন
সদর্পে ঘোষিত হল---
জয়ীরাই শেষ কথা বলে
আজ থেকে কেউ যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে না।
সেই থেকে যুদ্ধ ঘোষণা বন্ধ।
শুধু বিনা ঘোষণায় যুদ্ধ করে যায়
আমেরিকা, রাশিয়া, ইউক্রেন
আফগানিস্তান, ইরাক, কোরিয়া,
ভারত, পাকিস্তান ইত্যাদি, ইত্যাদি।


(ঋণ স্বীকার: অধ্যাপক পার্থ চ্যাটার্জী)