নূরকে ভালো আমিও বেসেছিলাম
তবু দুনিয়াদার
শাহেনশাহ শাহজাহান
ছিনিয়ে নিলেন তাকে
তুমি তো জানতে প্রিয়তমা নূর
ঠিক তারপর থেকেই শুরু হলো
আমার নিজস্ব তাজমহল নির্মাণ
কতবছর কেটে গেছে
না পেলাম একজন কারিগর
না যনুনার তীর, না একটা পয়সা
কিন্তু তুমি তো জানতে নূর
আমার ছিল বিনিদ্র রজনী
আর লাগাম ছাড়া কল্পনা
কত কত বছরের চেষ্টায়
আমি খুঁজে নিয়েছি এক স্বর্গীয় নদী
যমুনা নেহাত তুচ্ছ তার পাশে
কত লক্ষ কারিগর নিয়োগ করেছি আমি
কত হীরে, কত জহরত
খোদাই করেছি তার মহল গাত্রে
একদিকে শাহেনশাহর তাজ
অন্যদিকে আমার নূরমহল
নির্মিত হয়ে চলে আমার ভিতর মহল
বাদশার বাহির
আমার মহল থেকে স্বপ্ন উড়ে যায়
বাতাসে ভাসতে ভাসতে
গিয়ে বসে নূরজাহানের চোখে
প্রিয়তমা নূর বলে,
জাহাঁপনা, দুনিয়ার সেরা স্মৃতিসৌধ
আমার জন্য নির্মাণ করেছে এক কবি
আজ্ঞা করুন চির নিদ্রায়
সেখানেই শুইয়ে দেবেন আমায়
বাদশা পাগলের মতো ছুটে আসে আমার কুটিরে
কোথায় কোথায় সেই শ্রেষ্ঠ নূরমহল
দেখাও, দেখাও কবি
এখুনি এখুনি গুঁড়িয়ে দেব তাকে
ধূলিসাত করতে চাই তাকে
বড় করুণ আর অসহায় লাগে তাকে
তখন বাতাসে ভাসতে থাকে
ন হন্যতে, ন হন্যতে.....
অবশেষে এলো সেইদিন
তোমার ক্ষীণ দেহ কোলে নিয়ে
কাঁদেন শাহেনশাহ
তাজের গর্ভ গৃহে শায়িত তোমার দেহ
আর তোমার অমর আত্মা
চিরস্থায়ী নূরমহলে আমার