পথের শেষ কোথায়


এক বিপ্লবী এক মৌলবাদীর তাড়া খেয়ে
জঙ্গলের মধ্যে একটা ভাঙা বাড়িতে
লুকোতে গিয়ে দেখে
কি আশ্চর্য, সেখানে তখন এক মৌলবাদী
এক বিপ্লবীর তাড়া খেয়ে ইতিমধ্যেই লুকিয়ে
একে অন্যকে দেখেই তারা শুরু করল তর্ক
রাত যত বাড়তে থাকে
তর্ক তত উত্তপ্ত হয়
বিপ্লবী মৌলবাদীর ভয়ে
মৌলবাদী বিপ্লবীর ভয়ে
ফিসফিস করে কথা কয়
হিংসায়  তাদের দাঁতে দাঁতে ঘষা লাগে
তারা দুটো ফণা তোলা কেউটের মতো হিস হিস করে
ঠিক এমনি সময়
কয়েক হাজার বছর বয়সী এক ঋষি
ইতিহাসের তাড়া খেয়ে
সেই ভাঙা বাড়িতে হাজির
ঋষি তাদের থামাতে গেলে
মৌলবাদী ঋষির চুল দাড়ি কলপ করতে বলে
আর বিপ্লবী ঋষির কৌপীন ধরে টানাটানি শুরু করে দেয়
প্রবল ধস্তাধস্তির মাঝে
বিপ্লবীর মোবাইলে মেসেজ আসে
"কমরেড, আর দেরি নয়
লড়াই শুরু হয়ে গেছে
এসো, বেরিয়ে এসো।"
মৌলবাদীর মোবাইলে ভেসে আসে বার্তা
"এবার শুধু আগুন লাগানোটা বাকি,
এসো, বেরিয়ে এসো
এখন গভীর অন্ধকার
এই তো প্রশস্ত সময়।"
ঋষি দৈব বাণী শুনতে পান
"অসহায়, বিপন্ন মানুষের মুক্তির জন্য
আরো একবার সম্ভব হও।"
তারা একে একে বেরিয়ে আসে
নিজস্ব গোপন আশ্রয় থেকে
আর অতর্কিতে শুরু হয়
বৃষ্টির মতো গুলি বর্ষণ।
পাশাপাশি পড়ে থাকে
বিপ্লবী, মৌলবাদী আর প্রাচীন ঋষির লাশ।
'পথের শেষ কোথায়, কী আছে শেষে '
গাইতে গাইতে কারা দিগন্তের দিকে হেঁটে চলে যায়।