পতিত পাবনি গঙ্গে
মুল রচনা George Herbert ( ১৫৯৩-১৬৩৩)এর Jordan2
রূপান্তর : নির্ঝর মুখোপাধ্যায়
(কবিতাটা প্রায় পাঁচশো বছরের পুরোনো এক ভক্ত খ্রীষ্টান কবির। কিন্তু ভাবনাটা বড় বেশী প্রাসঙ্গিক। বিশেষ করে যখন দেখি কবি শঙ্খ ঘোষের ভাষায় ' শব্দের নাগাল' পেয়েই অনেকে কবি হবার নেশায় মত্ত।)
আমার প্রথম , দ্বিতীয় , তৃতীয় পঙক্তি.....
যখন মাথার মধ্যে আসে,
কি আশ্চর্য চিকন তাদের রূপ!
যেন স্বর্গ সুখে ভাসে,
আর ভাসতে ভাসতে
ঝকমকে সব শব্দমালায় সাজাই,
আমার ভাবনাগুলো
কেমন নেচেকুঁদে ফুলের মতো ফোটে।
সহজ সরল কল্পনাতে উপমা কালিদাস
রূপকের খাদ পূরণ করে ব্যর্থ অভিলাষ ।
ভাবনাগুলো বিকোয় যেন ঘাটে বাটে হাটে
আমায় দেখুন কতবড় কবি হয়েছি বটে!
মাথার মধ্যে কিলবিল করে ভাবনা সারি সারি
একটা ধরি ,জুতসই না ? কালিমালেপন করি।
পরের পরের , তারও পরের সৃজন আমার যত
একে একে নিঃশেষ সব, মাথা আমার নত
তোমার গান গাইতে গিয়ে কাব্য করি কত
শুধু তোমায় ছেড়ে নিজেকে নিয়ে ছলনা অবিরত।
সূর্যালোককে ছায়া দেবার বাতুল প্রয়াস আমার
মাথার মধ্যে নিষ্পেষিত হচ্ছে বারংবার।
শনৈঃ শনৈঃ হাওয়ার মতো ছুটছি
আর ঝাঁপিয়ে পড়ছি,
আমার আগুন-ভাবনাগুলোর থেকে
লক লক করে জ্বলে উঠছে
কবিতার এক একটা লাইন,
নিজের সঙ্গে নিজেরই এক জটার বাঁধন যেন।
কিন্তু হঠাৎ
কে তুমি বন্ধু ?
কানের কাছে ফিস ফিস করে বলো—
থামো !!!
কত দূর সরে গেছো তুমি
প্রেম থেকে, পূজা থেকে
ফেলে দাও অলংকার যত কবিতার তোমার ।
নগ্ন নিরাভরণ ভালোবাসার সৌরভ
পারো যদি ভরে নাও কবিতায় তোমার ।