একটা বিরাট বড় পঁয়ষট্টি তলা বাড়ি
দিল্লীর এক হারামজাদার মন থেকে বেরিয়ে
এই কলকাতার অলিতে গলিতে উঁকি মারল।
আমাদের এই সাহেবপাড়ার
আর্মনিয়ান গেস্ট হাউসটা
তার ভারি পছন্দ ।
কেমন খোলা মেলা ছড়ানো ছেটানো
শুধু চারপাশে কিছু খুচরো ঝামেলা
পানের গুমটি, চায়ের দোকান,
কিছু হতভাগা মানুষের বাস।
ওসব সামলে নেব,
পঁয়ষট্টি তলা মুচকে হাসে।


কিন্তু বাড়িটাতো ঐতিহাসিক
কলকাতার কত গল্প, কত কথা
শীতের রোদে পিঠ ঠেকিয়ে
বাগানের আমগাছটাকে বলে।
কখনো সখনো  মালকিন বুড়ি মিসেস পাডি
গভীর রাতে বাড়িটার পিঠে হাত বোলায়
বাড়িটার তখন চোখ ছল ছল করে ওঠে
দুজনেই নিঃশব্দে রাত কাটায়।
পঁয়ষট্টি তলা শকুনের মতো অপেক্ষায় থাকে।


পাডি একদিন গভীর রাতে সোফায় বসে
বাড়িটার গল্প শুনতে শুনতে চলে গেল
হাতে তখনো জ্বলন্ত সিগারেট।


পরেরদিনই পঁয়ষট্টি তলা
কাজ শুরু করে
আগাছার মতো উপড়ে ফেলে
গুমটি, দোকান,গরিব হতভাগাদের দল


গেস্ট হাউসটা উড়তে উড়তে আকাশে মিলিয়ে যায়।


পাডিরা চলে যায়
ইতিহাস মুছে দেয়
হারামজাদার দল।