সেলফি সেলুলার জেলে


আমার পিতৃপুরুষ বোকা ছিল
কিন্তু তুমিতো বোকা নও।
তারা দেশকে ভালোবেসেছিলো
তাই আন্দামান।
তুমি আমায় ভালোবাসো
দেখো এই বড় শরীরে
সুসজ্জিত  ছোট পোষাক,
আমাকে ভালোবাসো।
দেখো সারা গায়ে
ফরাসী সুগন্ধীচাপা লালসার গন্ধ,
আঘ্রাণ করো
আমাকে ভালোবাসো ।
চলো আন্দামানে হানিমুনে যাই।


চলো সেলুলার জেল ।
ওই দেখো ওইখানে হেলে আছে
লোহার মাচান
ওখানে আমার পিতৃপুরুষকে বেঁধে
ওরা চাবুক মেরেছিলো—
কি বোকা বোকা ব্যাপার!
চলো ওই মাচা ধরে
হেলে দুলে চালাক চালাক সেলফি তুলি।
আরে আরে দাঁড়াও
এইখানে সলিটারি সেল
পাশেই দেখো ফাঁসীঘর
তিন তিনটে দড়ি
নীরবে ঝুলছে ফাঁসীকাঠ থেকে,
এইখানে সলিটারি সেল থেকে
একা একা রোজ রোজ ফাঁসীঘর দেখা
তারপর একদিন টুক করে ঝুলে পড়া,
সত্যি সাহেবদের রসবোধ ছিল বটে !
শোনো, ওই  ফাঁসীর দড়ির পিছনে
ঠিক করে দাঁড়াও তো দেখি
সেলফি তুলি তোমার আমার
বোকা লোকের ফাঁসীকাঠে
চালাক লোকের ছবি।
ওই যে সেন্ট্রাল টাওয়ার আর ঝুলন্ত ঘন্টা
যেইদিন ভোরবেলা ঢং ঢং ---
ব্যাস ,সারা আন্দামান জেনে যেতো
তিনটে বোকালোক 
ফাঁসী কাঠে ঝুলে গেছে বেবাক।
চলো ওই ঘন্টাটা বাজাই
ঢং ঢং ঢং, ঢং ঢং ঢং, ঢং ঢং ঢং,
সারা আন্দামান জেনে যাক
আমরাও ভালোবাসাবাসি করি
আমরাও  সাজানো ফাঁসী কাঠে ছবি তুলে যাই।