শেষ বকশিশ কেষ্টকে


এই তো দেখো
কেমন বুঝে গেলাম
পূজার বকশিশ নিতে
পেতেছো দুই হাত,
অথচ তুমিই বুঝলে না
কতদিন আগেই
শরীরে ঢুকিয়ে নিয়েছো কালসাপ
শরীর তো লখীন্দরের বাসর
তোমার বেহুলা এখন
ভেসে চলে আউটডোরের
ঘাট থেকে ঘাটে
কোলে নিয়ে জীবন্ত তোমায়।
ভেতরে ভেতরে বাসা বেঁধে
কালসাপ চুষে চুষে
খেয়েছে তোমায়
আর শীত,গ্রীষ্ম ,বর্ষা
নিরন্তর ছুটে গেছো  
দুমুঠো ভাতের পিছন।
এখন দুহাত  পেতে
বকশিশ পেতে চাও জীবন


দুচোখে  চিক চিক করে
তোমার অকাল গমন
ঝাপসা ঝাপসা দেখতে পাও
দেবীর অকাল বোধন
মা আসছেন
মা হাসছেন
ঘোটকে আগমন
আর নৌকায় গমন
বুঝে গেছো  বিধিলিপি অক্ষরে অক্ষরে
বরং নৌকা ঠেলে দিয়ে
বলো, আবার এসো মা !!!
নাই বা দেখলে তাঁর আসা
শুধু জেনে যাও
ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ
ঠাকুর যাবে বিসর্জন
আসছে বছর আবার হবে