একদিন রাতে আমি স্বপন দেখিনু
চারিধারে কত কবি, আর কিছু হনু
কেউ বলে ছন্দে, কেউ বলে সনেটে
“এই বুঝি কবিতা? বলে কোন গবেটে?”


চেনা চেনা মনে হয় গলার ওই ব্যঞ্জনা
কাক? নাকি কাদাখোঁচা? না না খঞ্জনা
উঁকি মেরে দেখি বুঝি কার গলা এত সাধা
আরে আরে এ যে দেখি আমাদেরি কবিদাদা !


“দেখ দেখি, রাত জেগে লিখেছি কি কাব্য
কান খুলে শোন তবে, এইবারে পড়ব
প্রথমেই লিখি যদি নুন আর পাতি লেবু
হাত বুঝি নিশপিশ? মিলবেই শেষে সাবু?


এরপর ধর যদি লিখি ফ্রাই, চিপস্-ফিস?
ঠোঁটের কোনে মুচকি হাসি? আসবে বুঝি লিপ কিস?
ভেবে ভেবে এরপর লিখেছি যে বিরিয়ানি
পণ কর, লিখবি না ফস করে সেই এক কুরবানী ।


পই পই করে বলি, মেলাস না ছন্দ
তবে বুঝি আধুনিক, আছে কোন সন্দ?
যত দিবি উদ্ভট, উৎকট শব্দ
সব বেটা ঢিঢ হবে, সব বেটা জব্দ ।


কেউ কিছু বুঝবে না, চুপ করে থাকে তাই
ভাবে মুখ খুললেই বুঝে যাবে সব্বাই”
আমি বলি কই দাদা শেষ কর পাঠ্য
মনে কত কুতুহল, জমে গেছে নাট্য ।


“চাটনি পরের লাইন, তারপরে মিষ্টি
এইখানে এসে বুঝি থেমে গেছে সৃষ্টি !
সারা রাত ঘুম নেই পেকে গেল সব চুল  
কবিতার নাম কি? ভেবে না পাই কোনো কুল” ।


মিন মিন করি আমি, দরদর ঘাম  
অনুমতি দাও যদি দিতে পারি নাম
আজ তুমি কত দূরে পাওনা বুঝি হাতে
“বিয়ের মেনু” নামটি রাখ খাওয়ার সাথে সাথে ।