বয়স নাকি চল্লিশ বলছে জাহিদ মিয়ার নানী
তবু হচ্ছে না বিয়ে এই নিয়ে সবার কানাকানি।
বিয়ের কথা বললে মানা করে সাফ সাফ
তার বন্ধুরা সবাই দুই তিন পোলার বাপ।


জাহিদ মিয়া করবে না কেন বিয়ে
গ্রামবাসী চিন্তাই পড়লো এই নিয়ে।
বন্ধুরা মিলে দিলাম বিয়ের জন্য চাপ
হাত জোরে চাইছে সবার কাছে মাফ।


বন্ধুরা সবাই বুঝালাম কর এবার বিয়ে
বয়স তো কম হয়নি পা দিলো চল্লিশে।
টাকার ভয় যদি পাও বল মোদের খুলে
তোমার বিয়ে দেবো আমরা চাঁদা তুলে।


অবশেষে হইল রাজি জাহিদ মিয়া
বর সেজে যাবে টোপর মাথায় দিয়া।
আনন্দ উল্লাস শুরু হলো সবার মাঝে
সবাই মিলে মন দিল নিজ নিজ কাজে।


সামনের শুক্র বিয়ে কাপাসিয়ার পাত্রী
আমরা সবাই মিলে হব বরযাত্রী।
শিশুরা নাচবে, আমি করবো গান
রাখবো আমরা বরযাত্রীর মান।


উভয় পক্ষের সবই ছিল ঠিকঠাক
জামাই নাকি মারছে আবার বাঁক।
বিয়ের দিন তারিখ সবই হল জানা
জাহিদ মিয়া আবার নাকি করছে বাহানা।


শিশুরা সব নাচছে আমি গাইছি গান
সত্যিই এবার কাটা যাবে বরযাত্রীর কান।
শত মানুষ জড়ো হলো আমি দেখলাম গিয়ে
জাহিদ মিয়া করবে না আর নাকি বিয়ে।