"পাথুরে দেবী"
খন্ডঃ ১
আমি??
অনন্য অসীম বিদ্বেষহীন এক রমণী খুঁজেছিলাম।
প্রেমের মঞ্চে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী না হলেও,
বুক সাজানোর অভিনয়ে সে নিমগ্ন চিত্তে যেন এক "পাথুরে দেবী"।
গাছের ডালে বসে থাকা জোড়া পাখি গুলো, কেমন যেনো! হেসে উঠলো হঠাৎ করেই।
তাকিয়ে দেখি?তারা দেখিয়ে দিলো আমায়,
ওই যে মৈত্রীর পারে? এক গোলাপ নিচু হয়ে যেন তাকিয়ে আছে নদীর বয়ে যাওয়া স্রোতের দিকে,
আমি,কিছুটা পথ হেঁটে  কাছে গেলাম গোধুলীর,
এমন এক গোলাপ যে কিনা অদ্ভুত মায়াবী!
চাহনি তার সুর্যাস্তের ডুবচুম্বন স্বাদে জড়ানো,
নয়নের পাপড়িগুলো যেনো  তার? বিষাদ গভীর,
অদ্ভুত সুন্দর কাঁচের বোনা জাগ্রত এক কন্ঠ তার।
কিছু সময় পর,
আবারও তাকিয়ে দেখি
গোধুলীর পার,
নীলের নিচে জমেছে ঘন আঁধার ডেকে,
গোলাপটি তার সুভাষ ছড়িয়ে দিলো বিস্তৃত এই গোধুলী জুড়ে,
অপুর্ব সুন্দর ওই মুখের দিকে তাকিয়ে আদুরে হাসির বর্ণনা করতে আমি ব্যর্থ হলাম আবারও।
তার সুভাষ যেন আমায়, আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরলো,এমন মাতাল আগে কখনো হই নি,,
আচ্ছা?
এ গোলাপ কি বাসি?
তার খাঁটি তীব্র সুভাষে জ্বলন্ত দুই চোখ আমার  বুক পকেটে রাখা প্রেম পত্রকে যেন ঘুম পাড়িয়ে দিলো,,


কে তুমি?
এত সুন্দর কেন তোমার ভাঁজ?
হ্যাঁ,
তোমার কথাই বলছি,
এই মৃত সুভাষীনি যে তুমিই,
ঘুমন্ত হরিণ কে জাগিয়ে দেয়ার মতো অদ্ভুত স্বর্ণালী কন্ঠ তোমার,
পুতুলরুপী এক রজনীযোগী,
যার প্রেমে না পড়ে আমি যে পারলাম না।
বৃষ্টি শেষে মাটির খাঁজে জমা জলের মতো শান্ত তুমি,
স্বপ্নঘুমের দেশে মাতোয়ারা এই রাণীর ধরণ?
কালোয় জমা আঁধার শেষে,
সাত রঙা এক পাগল করা মন।
হ্যাঁ গো!
তোমার কথাই বলছি রুপবতী অনন্যা
তোমার ধাঁর ঘেঁষে যে আমার মোহের বন্যা।
হয় তো বা,
ভালবেসে মায়ার জাল বুনে ফেলেছি তোমায় দেখে,
এতটাই বিচলিত আবেগে ভর্তি এক রমণী তুমি,
তোমার বিষাদ সুন্দর কন্ঠের উৎসর্গে নাম দিলাম আজ তোমার,
"পাথুরে দেবী"
                   ---অনি