মহুয়ার বনে মাতাল করা শুভ্র মধুর সুর


এতকাল বুঝি এনে দিলো হায়


বালিকা বেলার ভোর/


মনে পড়ে মাকে কতবারে হায়


অম্লমধুর রূপে


ব্যাস্তমস্ত কত সমস্ত


কাজ করে ছুটে ছুটে /


বসিয়াছি ঘরে মুখে দুটি ভাত


তুলি দিয়ে মা ই মোর


শিখিয়েছে মোরে


ভালোবাসাবাসির মন্ত্রের ঐ জোর/


মা যে নেই পাশে


বহুদূরে হায় ফেলিয়া এসেছি তারে,


দুটি হাতে তার চুড়ি টংকার


বার বার মনে পড়ে.


মা জেনো তুমি


মোর মন ঘনঘোরে,


বাসিছ সারাটি বেলা।


চুইঁয়া চুইঁয়া তোমার এরই রসে


সিক্ত হইছে বেলা/


মা তুমি বলিতে জীবনে


হইতে হইলে সৎ


বাসিতে হইবে মানুষেরে ভালো


মানুষের মন ই সব,


জানিনা কিভাবে আমারেও রোগে ধরিল


তোমারই মত,


মানুষেরে সুখ, মানুষের দুখ,


বুকে বাজে অবিরত/


হয়তো তোমার মতো লোকে


আমায় বাসে না ততটা ভালো,


তথাপি তাদের জীবনাচরণে


খুঁজিয়া বেড়াই আলো/


তাহাদেরি সুখে তাহাদেরই দুখে


মনে বাজে ঘনঘোর/


তাহাদের মনে রচিয়া বেড়াই


শুভ্র গানের সুর/


মা তুমি রোয়ো এমনি করেই


মোর মন পাশে সদা


শুভ্র সে হাসিতে


ভাসিয়া যাইবে


জীবনের সব বাঁধা/