সে রহস্য করা যায় নি আজও উদ্ঘাটন, ক্রমে ক্রমে
বিস্ময়ে ঘেরাত্ত রমনীর মন, নিবিড় কৌতুহলে মুদ্রিত।
আগুনের ভিতর জন্মের দহনে নৈপুণ্যের শোভাযাত্রায়
অনাশ্রিত আয়ব্যয়ে বদলে যায় ভালোবাসার মুদ্রাক্ষর।
বিদীর্ণ জীবনের দাম, সামর্থ্যহীন প্রহারে অসংখ্য ঋণ
ঘৃণা ভরা ঘোলাটে চোখে অট্টহাসির মুলতান সংগ্রহে।
রাশভারী অনাদৃত নারীর বিস্মিত চোখে তার লাঞ্ছনা
বৈদূর্যমণির মোহে, উজ্জ্বল মহিমায় ফেঁসে যায় রোজ।
নিঃশব্দ পদতলে ধ্বংসে যায় শহরতলি, সাম্রাজ্যের
দরজায় আছড়ে পড়ে বিশাল অট্টালিকা, রহস্যঘন
প্রাণমূর্তি নিতান্তই পাষাণ শিলা, হয়রানি দাঙ্গা ক্লেশে
ঘাতে ঘাতে ভাঙে না তবু, বুকফাটা কান্নার আপোসে।
ভুলিয়ে রাখা মননে বোঝা বড়ো দায়, সে তো বিস্ময়
নিগ্রহ আর দ্রোহের ছলে ভস্মীভূত অস্তাচল, ঈশ্বরীর
সহস্র ছলনার তোপে, নক্ষত্রের ছায়াপথে চোখ রাখে
জ্যোতিষিক, শতাব্দী শেষ হয়ে যায়, ব্যর্থ হয় উদ্ঘাটন
বিস্ময়ে ঘেরাত্ত বিচিত্র রমণীর মন..।