অধম
                  শ্রীপাত্র
বুঝি আধ মরারাও মারে,
কুন্ডলীকৃত ঘৃণা ঘূণ ধরে
ধরা দেয় সেই মারমুখীকে।
তারপর
দিন গুনে এগোনোর
নরকের সিঁড়ি দ্রুত নীচে নামে,
রক্তের কণাগুলো জমাট বাঁধে।
আহা কি আরাম
স্বপ্নেও বুঝি নেই সে সুখ।
শত শত শব দেহ পেরিয়ে আজ
আমি সহস্রতম শবের চিন্হ।
সীমানার ওপারে বুঝি শবেরা কথা বলে।
আজও স্বপ্ন দেখে বাঁচবার
তাকিয়ে থাকে অপলক চোখে
নিথর সাথীদের মাঝে ববি ডল।
এই মৃত উপত্যকার শিখরে স্বাধীনতা
গণতন্ত্রের রং
নীচে মিশরের পিরামিড।
এগিয়ে এসেছি ধাপে ধাপে
তারপর এসেছে সেই সিঁড়ি
নরকে ঢুকবে দ্রুত।
মাংস পোড়ার গন্ধটা নাকে
আশ্রয়হীন করার পিশাচ উল্লাস
দেখতে দেখতে নামলাম সেখানেই।
অনেকেই এসে গেছে আগে
হিসেবের খাতা খোলা।
সই হীন পাতায় একটাই নাম
ভেবে দেখো---রইলো শূণ্যস্থান।।