দেবী  পোড়ারমুখী
নিবেদিতা মার্জিত (ঘোষ)


বিকেল রোদে পুকুর পাড়ে ,                  বিষাদ আলো মেখে,
              পা ডোবাল মা দুর্গা মুকুট পাশে রেখে,
“জল কে চল ,জল কে চল”            সখীর আমোঘ ডাক
          রাধাতো তুই নয়কো রে সংগ্রাম বেবাক্‌।
হাতের আঙ্গুল কষ্ট বোঝে ,                  চোখে নোনাজল
        মহেশ্বর মহাব্যাস্ত মনের নাই যা তল ।
বাতাসে বসন্ত আসে,                         পাখি বোনে বাসা
        সন্তান কে কোল দিতেই হবে মাখিয়ে ভালোবাসা।
গাল খাবি,কান্না গিলবি,                   কাচবি নোংরা কাপড়
             যুগের পর যুগ চলে যায় কলি ,সত্য,দ্বাপর।
সন্তান নাকি মানুষ করিস?              সহজ কাজ আর কি!
            বুদ্ধি গেল হিসাব খাতায় ভুল অঙ্কই কষবি।
সোনার মুকুট হাঁড়ির তলায় ,            ত্রিনয়ন হল অন্ধ
               শঙ্খ- চক্র পদ্ম এখন ব্যবহার করা বন্ধ।
দুর্গা তুই বোকা নাকি?                   তুই নাকি দশভুজা
         রূপ মেপেছিস শক্তি দিয়ে! দুঃখ ভোলা সোজা?
ও দুর্গা তোর মা নেই?                    ও দুর্গা তুই একা?
         মহার্ঘ সব অলঙ্কারে বিষ- ক্ষত ঢাকা?  
সব দোষ নিজের ঁকাধে!                 সব বিষে মন ভার
            নাগপাশ চারিদিকে তোর, ভীষণ ঁআধার।
রাধা তো নোস!                        কলস কেন ঁকাখে?
           অসুর রক্তে তৃষ্ণা ভেজা নির্জন রাজপথে।