সম্ভিত নিয়ে চোখ দুটি মুদে অন্তর থেকে করো হে স্মরণ
যুগে যুগে এ ভবে ঘটে যাওয়া সব মুক্তিযুদ্ধের বাতাবরণ।      


পরাধীনতার বেড়ি বাঁধা ছিলো যে পায়ে এই যে ধরাতলে  
সে পা এমনি পেরেছে মুক্ত হতে কভু কোনও যাদুর বলে?  


বছরের পর বছর বন্দীদের রেখেছিলো যে ক্রূর বন্দীশালা
আপনা থেকে তা বন্দীকে ছেড়েছে? এমনি খুলেছে তালা?    


নিষ্ঠুর নির্দয় শাসকে যখন বেঁধে দেয় প্রজার দু'পায়ে বেড়ি
সহাস্য বদনে খুলে দিয়ে বাঁধন ভাসায় অবাধ দয়ার ফেরি?


রাজপথ বেয়ে দলে দলে চলা মুখে যে শিকল ভাঙার গান  
শুধু সুরে সুরে ফিরে করেনি কভু রাজার ক্ষমতার অবসান।  


মিছিলের বুকে দৃপ্ত হাজারো মুখে যে স্লোগানময় প্রতিবাদ
অনায়াসে তা করতে পারেনি যে কভু শোষকদের বরবাদ।  


স্বাধীনতার ধন মেকী কিছু নয়, তাকে পাওয়া অতীব শক্ত
সে অমূল্য স্বাধীনতাকে পেতে হলে যে ঝরাতেই হবে রক্ত।  


শোনিতধারা না ঝরায় যদি স্বাধীনতাকামী সংগ্রামীর দেহ
স্বাধীনতা তবে দূরেতে থাকে, ধরতে তারে পারে না কেহ।