যে ধরণীর বুকে জন্ম নিলে তুমি, হাঁটছো যে কোল বেয়ে    
সেই ধরণীর দিকে পরম মমতায় দেখেছো কখনো চেয়ে?    


নিয়ে নাও আলো, নাও তুলে বায়ু, নাও অন্ন ক্ষুধার্ত মুখে;
তারে তুমি কী দিচ্ছো বলো যে রাখে তোমায় পরম সুখে?  


তৃষ্ণা মেটাতে পাচ্ছো যে জল, পাচ্ছো যতো সুমধুর ফল;
বিনিমিয়ে তুমি কী দাও তারে যার দান বিনে তুমি অচল?


যার বুকে দাঁড়াও সভারে সগর্বে তুমি নিজেকে ভাবো উঁচু,
তোমার কর্মে গুণেতে কি তারে কভু উঁচুতে তুলেছো কিছু?    


বৃক্ষছায়ে মেঘের আড়ালে যে রেখেছে পরম মমতায় ধরে,
সে মমতার ঋণ কিছু কি তুমি মিটিয়েছো কভু সুকর্ম করে?  


কতোগুলো বছর পার করে যেখানে করে গেছো শুধুই ঋণ,        
সেই ঋণ পরিশোধের তরে কিছু করেছো কি কোনো দিন?    


নিজ মুখে ধরণী চায় না তো কিছু তাই সকলি তুমিই নেবে?  
কৃতজ্ঞতা বোধে মহান সে দাত্রীকে বিনিময়ে কিছু না দেবে?    


দেশটাও যে মায়েরই মতো, না চাইতেই পেয়ে যাও আরো,    
সার্থক হবে জনম তোমার বিনিময়ে যদি কিছু দিতে পারো।