জ্ঞান মহিমায় সমুজ্জ্বল যাঁরা জ্ঞানই তাঁদের শক্তিঘর,
আহরিত সকল বিদ্যাবুদ্ধি করে দেয় তাঁদের স্বনির্ভর।  


প্রতাপশালী রাজার তরে রাজ্য, প্রজা আর রাজকোষ
নিত্য দেয় শক্তির যোগান, বাড়ে রাজার হৃদ-সন্তোষ।    


বিত্তশালীর মানসিক শক্তি ধন সম্পদ বৈভবের মাঝে
প্রত্যূষ শুরু সম্পদ আহরণে, দিনের শেষ ক্লান্ত সাঁঝে।


প্রকৃত ব্যবসায়ীর বিবেক পুঁজিটাকেই মহাসম্পদ বুঝে  
পুঁজি আর বুদ্ধির শক্তি খাটিয়ে মুনাফাকে বেরায় খুঁজে।


দেশ-গণমানুষের মঙ্গল যাঁর সর্বাঙ্গিন রাজনীতি করায়
সেই দেশ-গণমানুষই যে তাঁর আমরণ সর্বশক্তি ধরায়।          


বিদ্যাজ্ঞান শুন্য যে লোকের আছে পেশীশক্তির বড়াই,
তার মেকী অহংকারে হার মেনে যায় যেনো সর্বধরাই!        
    
বিদ্যাজ্ঞান বঞ্চিত গরীবেরাও নয় সম্পদহীন চতুষ্পদ,      
সামর্থ ও ইচ্ছাশক্তিই যে গরীব লোকের শ্রেষ্ঠ সম্পদ।  


জ্ঞান-বিদ্যাবুদ্ধি-বোধ-ব্যবহারে যে সম্পদের রূপ ভিন্ন,    
সম্পদ গুণেই মানুষ উন্নত হয়, কুসম্পদে হয় নিশ্চিহ্ন।