বলতো তোকে কে দেখিয়েছে এই পৃথিবীর আলো?
সব ভুলে কে যায় যে ভেবে কিসে হয় তোর ভালো?
আগলে তোকে কে রেখেছে বুকের মাঝে ধরে?
কে দিয়েছে আদর-মমতা হৃদয় উজাড় করে?
কে কাঁদে রে তোর দুঃখেতে, বিধাতাকে ডাকে,
জায়নামাজে অশ্রু ঝরায়, সিয়াম করে থাকে?
কে বলতো তোর ভালোতে নিজের ভালো ভুলে
শীত বাদলে ঢাকতে তোকে আঁচলটা দেয় খুলে?  
‘ওরে মানিক, ওরে সোনা’ কে ডাকে রে তোরে,  
তোর জন্য কার দিনের শুরু কাকডাকা প্রতি ভোরে?
নিজের ব্যথা কে যায় ভুলে, কে কাঁদে তোর রোগে,
তোর সেবাতে দিবস-নিশি সব যাতনা ভোগে?
কার পায়ের নিচে বেহেস্ত বল? কে বুঝে তোর সব?
কার হাসিতে বলতো হাসে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা রব?  
নামাজ রোজা ফরয জানিস, সেই ‘মা’কে জানিস না!
ওরে পাপী! সবার চেয়ে আগে জানিস ‘জন্মদাত্রী মা।’
মায়ের মুখে ফুটলে হাসি স্বর্গেতে ফুল ফোটে,
রবের হাতে গড়া জান্নাত তোর কপালে জোটে।