দুচোখ খুলে দেখি শুধু সবুজ সরষে ফুল
মাথার উপর মাটি উড়ে বুঝতে হয় না ভুল।
পাহাড় থেকে বৃষ্টি ঝরে ছলকে উঠে পানি
ভিজলে দেহে আগুন লাগে কিছু’ত না জানি।
সূর্য ঘিরে তারা হাসে আমি হাসি সাথে
শ্বেত বর্ণ কোকিল ডাকে অমাবস্যার রাতে।
বিলের জলে ফোটা গোলাপ হাওয়ায় শুধু দোলে
ভ্রমর এসে লাল ডুমুরের ভিতরখানি খোলে।
চাঁদের আলোর ভুবন ভাসে মুচকি হাসে দিন
কদম ফুলে গাঁথে মালা ছোট্ট সেফটি পিন।
দেখি আকাশ কাদায় ভরা হাঁটুসম পানি  
ঈশান কোণে ডুবে গেছে সূর্য একটু খানি।
নীল তটিনীর বুকে এসে কোন সে মরার ফাগুন
এক ঝলকে লাগিয়ে দিল ভরা বর্ষার আগুন?
কাকের ডাকে সন্ধ্যা নামে ভুবন ভরে আলোয়
রংধনু দেয় রং ছড়িয়ে মিশে গিয়ে কালোয়।
গাছের পাতায় ফল ধরেছে গন্ধে ভাসে পাখি
ফলের ভিতর ফুল ফুটেছে, দেখি খুলে আখি।
মাথায় বেঁধে কলমি লতা বেণি গেঁথে দুটি
সপ্ত আকাশ মারিয়ে বেড়াই, আজকে আমার ছুটি।  
আষাঢ় গেল, গ্রীষ্ম গেল, এল চৈত্র মাস
কোন আগুনে ভিজে আমার এমন সর্বনাশ?
কাছে এসে দাও ধরিয়ে তুমি আমার ভুলটা,
কোন কথাটা বলছি সোজা, কোন কথাটা উল্টা।