যে বোঝে না অব্যক্ত কথা,
সঞ্চারিত দুঃখ-ব্যথা,
হৃদ গহীনের রক্তধারা
দেখাস নে, তারে দেখাস নে।


মায়ার বাঁধন দেয় যে খুলে,
যাবার ছলে সবই ভুলে,
ছলবিলাসী মানুষটারে
ঠেকাস নে, তুই ঠেকাস নে।


ক্ষণিক প্রণয় ছন্দ তুলে
দেয় যে আঘাত হিয়ার মূলে,
সে মানুষে স্মরণ করে
পোড়াস নে, ও মন পোড়াস নে।


বর্ণচোরা যে জন সাজে
তার লাগি তোর প্রাণের মাঝে
আশার ফানুস কোনও সাঁঝে
ওড়াস নে, তুই ওড়াস নে।


মিলন তরে তারই সনে
স্বপ্ন বুনে ক্ষণে ক্ষণে
মিছে কথার সম্মোহনে
বাঁধিস নে, ঘর বাঁধিস নে।


যে চায় না শিয়র পরে
আলিঙ্গনে মাতাল করে,
আসতে তারে আপন ঘরে
সাধিস নে, তুই সাধিস নে।


ছয়ে নয়ে ঘুরিয়ে যে জন
স্বপ্ন লুটে নিজের মতন
তারে কভু করে যতন
ধরিস নে, তুই ধরিস নে।


এর চেয়ে হোক একলা থাকা,
বুকের খাঁচা থাকুক ফাঁকা,
তবুও জীবন আঁকাবাঁকা
করিস নে, তুই করিস নে।


ছলবিলাসির মুখের বুলি,
মিছে আশার ফানুসগুলি
গুটিয়ে দিতে পায়ের ধুলি
উড়িয়ে দে, তুই উড়িয়ে দে।


যে বাঁধনে নেই রে আশা,
যেখানে নেই প্রাণের ভাষা,
শুধুই বিষাদ, সর্বনাশা,
গুড়িয়ে দে, তা গুড়িয়ে দে।


অনলে যে পোড়ায় শুধু,
হৃদয় করে কালো,
তারে ছেড়ে সারা জীবন
একলা থাকাই ভালো।