আচমকা বৈশাখী ঝড়ের বেগে ধাইধাই করে এলে,
দিকভ্রান্ত দিশাহীন বোহেমিয়ানকে দেখালে দিক;
অগোছালো চিন্তাগুলো, ভাবনার রাজ্য ছিল এলোমেলো
যেন হাতুড়ির মত পেরেক পিটিয়ে করে দিলে ঠিক।
ধুলো জমে কেমন ফ্যাকাসে ছিল আমার ঘরখানি,
তুমি এনে দিলে রঙ, সাজালে পড়ে থাকা সব ফুলদানি।
অকর্মণ্য অপদার্থ বেকার যুবক, তবুও মনে হত ‘সময় কই?’
তুমি গুছিয়ে দিলে এসে তাঁকে, যেন টেবিলে গোছানো শত বই।  
এবড়ো-থেবড়ো মনে এখানে ওখানে ঘুরেছি নিয়ে আলুথালু চুল
আদুরে আলিঙ্গনে নিলে কাছে টেনে, সাজিয়ে দিলে খুব নির্ভুল।
কি আবেগি যতনে রেখেছো কাছে, কি মায়ায় রেখেছো বুকে ধরে!
আমি নির্বাক নয়নে দেখি চেয়ে, এক মায়াবিনী এসেছে আমার ছোট্ট ঘরে!  
কখনও শাসন, কখনও বারণ, কখনও রাখো বেঁধে দুটি চোখে,
আমি অবাক হয়ে ভাবি, এই আমাকেই ‘উড়নচণ্ডী’ বলতো লোকে?
প্রদীপ জ্বলেনি ঘরে কতো রাত, আশার জগত দেখেছি কুচকুচে কালো,  
তুমি এলে এক ডানাকাটা পরী, আমার ছোট্ট ঘরে তুমি ছড়ালে ঝলমলে আলো।  
দুহাত তুলে বলি, কতো জনমের পুণ্যিতে এমন উপহার দিলে, প্রভু?
যে বাঁধনে বেঁধেছো দু’প্রাণ, রেখো এক করে, যেনো ছিন্ন না হয় কভু।