উন্মুক্ত আকাশের মাঝে একফালি চাঁদ,
ক্লান্ত, শ্রান্ত, যেনো অবসাদ।
মিটমিট করে জ্বলে গ্যালাক্সির ঝাঁক,
নিরাশ ধরণী পাথর, নিথর, নির্বাক।    


শুনশান নীরবতা, শূন্য চারদিকই,
অলস জোনাকির নেই কোনও ঝিকিমিকি,
এমন হয়নি জানি কখনও আগে,  
বাতাসে বেলীর গন্ধ দুঃসহ লাগে।


ভোরের আলোক বুঝি দূর, বহুদূর;
হুতোম পেঁচার কণ্ঠে বেদনার সুর।
টুকরো মেঘের চোখে জমে থাকা জল
এক কোণে পড়ে থাকে, ব্যথা অবিচল।


অলস ভাবনাগুলো ফিকে, দিশেহারা,
মেঘে চাঁদ ঢেকে যায়, হারিয়ে যায় তারা।
যাতনার কাঁটা বিঁধে রক্তধারা পায়ে,  
শিরশির বাতাসে কাঁপন লাগে গায়ে।


অবনীর বুকে সব শোক গেছে নেমে,  
তটিনীর জলধারা কখন গেছে থেমে!
হাওয়ায় হাওয়ায় পায় শনি অভিনন্দন,
থমকে যাওয়া সময়ের অবিরাম ক্রন্দন।


জনহীন নিঃসঙ্গ এ বিরাগ প্রান্তর,  
শোচনার মাতমে খন্ডায়িত অন্তর।  
দুঃখের সঞ্চার গড়ে আমার অসার প্রাণ,
জড়তায় বাঁধা পড়ে, নেই কোনও পরিত্রাণ।  
দিশাহীন পথিকের আশা নেই কিছুতেই,
মরণে মনের যাত্রা, দেহটাও ভালো নেই।