নীল আকাশে মেঘের ভেলা
পেঁজা তুলোর মতো
বাতাস ছেঁড়া খন্ড হয়ে
উড়ছে অবিরত।
হাওয়ার তালে ছুটছে দূরে
শিউলি ফুলের ঘ্রাণ,
শুভ্র কাশের মাথায় মাথায়
দিচ্ছে দোলা প্রাণ।
ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ার
লুকোচুরি খেলা,
মিষ্টি আলোয় গগণ কোলে
মাথা লুকোয় বেলা।
রৌদ্রালোকের বাঁকে বাঁকে
ভাদ্রআশ্বিন ঢঙ
দিচ্ছে মেখে পৃথিবীকে
শরত ঋতুর রঙ।
ভ্যাঁপসা গরম তাপ ছড়িয়ে
পাকছে তালের বুক,
জলের বুকে পদ্ম হেসে
দেয় বাড়িয়ে মুখ।
শাপলা-শালুক দুলে দুলে
ভরায় জলের কোল,
কলমি ফুলের নীলাভ সুখে
পূর্ণিমারই বোল।  
সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে
কৃষ্ণচূড়ার হাসি,
হলদে সোনাইল হাওয়ায় দুলে
যাচ্ছে যেনো ভাসি।
গন্ধরাজের গন্ধে আকুল
ধরাতলের মন,
ঘাসের ডগায় হালকা শিশির
করে আলাপন।
আমলকীর পল্লবেতে
পাখির লুকোচুরি,
জলপাইয়ের লাল পাতাটা
বাতাসে যায় উড়ি।
ক্ষেতের ধারে বেঁধে সারি  
সাদা বকের দল
মাছের নেশায় দাঁড়িয়ে থাকে
চুপটি থাকার ছল।  
খোঁপায় গাঁথা দোদুল দোলে
শিউলি ফুলের মালা
যায় যে হেঁটে মেটো পথে
লাজুক পল্লীবালা।
রঙধনুতে আকাশ সাজে
ছড়িয়ে দিতে সুখ,
শরত সাজে ভরিয়ে দিতে  
শ্যামল বাংলার বুক।