দেহের ভিতর পেশীটারে খামচে বিবেক বলে,  
গায়ের জোরে জবরদখল, প্যাঁচ লাগালে চলে?  
পেশী বলে, করবো কী ভাই? আমি চলি তেমন,
হাজার রকম ফন্দি নিয়ে মানুষ চালায় যেমন।
বিবেক বলে, তাই বলে তুই যাবি আমায় ভুলে?
এখন থেকে করবি রে কাজ আমার দুয়ার খুলে।
পেশী শুধোয়, ক'জন বলো দিচ্ছে তোমায় দাম?    
আমার জোরেই করছে মানুষ দখল ধরাধাম।
জোর যার আজ মুল্লুক তার, হুংকার ছাড়ে সেই,
তার কাছে তো পেশীই বড়, বিবেকের দাম নেই।
তোমার বিচার ক'জন শুনে? আমায় লাগায় কাজে,
লাগামছাড়া মানুষগুলোর তোমায় লাগে না যে।
বিবেক বলে, তাইতো রে আজ হচ্ছে এমন দশা-
মানবতার মুখের উপর পশুত্বে দেয় কষা।
রাহাজানি, শোষণ, পেষণ, যতো হানাহানি,
তোর কারণেই হচ্ছে বেশি, এটা আমি জানি।
সব হারানোয় ক্রন্দন করে মানুষ চতুর্দিকে,
সবাই যেনো যায় এড়িয়ে, চোখে দেখে ফিকে।
নিঃস্ব জনের বিলাপ মাতম, চোখের জলের ঢেউ
কারও মনে দাগ কাটে না? দেখে না তো কেউ!  
পেশী বলে, তাইলে বলো, কী আর করার আছে?
কেঁদে কেঁদে বুকটা ভাসাও মানবপশুর কাছে।  
বিবেক বলে, শেষ বেলাতে মানুষ যখন দেখবে বিধি বাম,
পেশীতে আর জোর না পেলে বুঝবে বিবেকের কী দাম।