হচ্ছে অবশ পেশীগুলো, অক্ষম হচ্ছে চিন্তা, শূন্য মন, দেহগুলো স্থুল হচ্ছে  দিনে দিনে,    
তবুও যেনো মানুষগুলো আজ প্রকৃত সুখ-আনন্দ ছেড়ে ভার্চুয়ালের মেকী সুখ কিনে।  
গুণের শ্রী থাক বা না থাক, রূপের শ্রী থাকতেই হবে, ফ্যাশনচেতন হলেই কেল্লাফতে,
কে কার চেয়ে স্মার্ট বেশি- সেটাই হলো আসল কথা, মনুষ্যত্ববোধ নাইবা থাকে তাতে।
খোলসখানা ষোলোআনা থাকবে পরিপাটী, ভিতরে থাক শূন্য, কেইবা দেখবে ভিতর?
স্মার্ট মানেই যেনো পাশ্চাত্য ফ্যাশন, হোক না বিশ্রী চোখের ভাষা, স্বভাবে হোক ইতর।
রীতিনীতির নেইতো পসার, নেই ব্যবহার শিষ্টাচারের, অসামাজিকতাই পাচ্ছে খেয়াল,
দেশী সংস্কৃতি বড্ড সেকেলে! বিদেশী সংস্কৃতির দাপটে তাই দেশী সংস্কৃতিটাই বেহাল।    
জারী, সারি, ভাটিয়ালী, কবিগান, কিসসা, পালাগান, যাত্রা, ঢপযাত্রা, ঘাটুগান, গাজীর গান,
মরমী, হাসন-লালন, কুলি-মজুর-শ্রমিকের গান আজ লাগে বেসুরো, হালফ্যাশনে বেমানান। ১৯০
বাউলের গান গায় না যে বাউল, বিদেশী যন্ত্রে বিষম কাঁপন তুলে গাইছে তা মঞ্চে কেহ,
পল্লীগানের সুর বদলেছে আধুনিক তালে, বেমানান তাল লয়ে ঝাঁকড়া চুলে নাচায় দেহ।
গানের কথা যায় না বোঝা হোক না যে তা যতোই খোঁজা, শুধু আওয়াজ আসে কানে,
চর্চা ছাড়াই, শিক্ষা ছাড়াই গাচ্ছে যে গান কতোজনেই, সেই গান কি আর মনকে টানে?
টিভি চ্যানেল সদাই ঘোরাও সেথায় হচ্ছে নাটক-সিনেমাও, বিনোদনের বাজছে বারো।
গান হচ্ছে, নাচ হচ্ছে, কৌতুক-কথার শত শো হচ্ছে, কতো রিয়্যালিটি শো হচ্ছে আরো।
বিজ্ঞাপনের বহর দেখে মাথায় উঠে রক্তের চাপ, সুস্থ বিনোদনের চিহ্নই যায় না পাওয়া,    
সবখানেতে অস্থিরতা, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, কুরুচিতে সস্তা মজা যেনো সবার চাওয়া!  
শুদ্ধ ভাষা মানেই এখন দেশ-বিদেশের ভাষার মিশেল, দুর্বোধ্য বেমানান গঠনহীন ভাষা,
সে ভাষাই যেনো আধুনিকতার মানদণ্ড, শুদ্ধ বাংলায় বললেই কথা, বলবে, তুমি চাষা!  ২০০
________________________________________________________ (চলমান)