স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশ, উন্নয়নের জোয়ার বেশ! উন্নয়নকর্ম উদ্বোধনের সুপারসনিক ধাপ!  
জ্ঞান, বিজ্ঞান, চিন্তা-চেতনা, ধ্যান ধারণা সব কিছুতেই উপচে পড়ে আধুনিকতার ছাপ।
ধনী, উচ্চ-মধ্য-নিম্নবিত্ত, দরিদ্র কিম্বা শ্রমিকের হাতে আধুনিক মোবাইল ফোন,
যোগাযোগ অনেক সহজ হয়েছে, বেড়েও গেছে অপরাধী আর অপরাধের জোন।
ঘরে যে সন্তান নিষ্পাপ সাজে সেই তো কতো আজেবাজে কাজ করছে মোবাইল হাতে,
শিক্ষাদীক্ষা থাকছে বাকি, শিক্ষালয়ে দিচ্ছে ফাঁকি, পড়ে থাকে মোবাইলেতে সারাদিবস-রাতে।
কোন আবেগের চাপের তরে কোন সময়ে কী যে করে, তদারকি নেই তো তার,
অশ্লীলতায় পূর্ণ করা, নগ্ন কথায়-কর্মে ভরা ইন্টারনেটের জগতটা যে ভীষণ চমৎকার!
সামাজিক যোগাযোগের কামে কতো ছেলেমেয়েই নামে হরহামেশা মেলামেশা-ভোগে,
প্রেমের ছলে প্রতারণা কেউ বোঝে, ফের কেউ বোঝে না, বিস্তৃতি পায় অবাধ মিলন রোগে। ৫২০
সকাল-বিকেল-রাতবিরাতে ঘুম আসে না আঁখি পাতে, ধুমছে চলে নগ্ন ফোনালাপ,
সন্তানেরও স্বাধীনতা চাই, সে কথা ভুলো না ভাই, আমরা হলাম আধুনিক মা-বাপ!
মা-বাপ থাকে লাগাম ছেড়ে ছেলেমেয়ের পাখনা উড়ে, ইন্টারনেটে মাতে,
রঙিন কামনার ছোঁয়ায় মান-ইজ্জত সবই খোওয়ায়, কী ভাবনা তাতে?
কমবয়সী মেয়ে-ছেলে সদা প্রেম-প্রেম খেলে, অকালেই যে ইঁচড়েপাকা,
যখন লোটা হচ্ছে মজা, কে দেবে কাকে সাজা? ভুল ভাঙলে সবই থাকে ফাঁকা।
লজ্জা-শরম কিম্বা হায়া হারিয়ে যে ফেলছে ছায়া, মানে না বড়-ছোট ভেদাভেদ
ছোট হয়েও ছাড়ছে সীমা, বিধি-নিষেধ করছে কিমা, স্বভাব যেনো নোংরা ক্লেদ।
ইন্টারনেটে অবাধ প্রবেশ স্বভাব-আচরণ করছে যে শেষ, চলছে সমাজ অবক্ষয়ের পথে।
শৈশবে ভর করছে যৌবন, কিশোরেও করে যৌন নির্যাতন, কী হবে ভবিষ্যতে? ৫৩০


(চলবে)