অশ্লীলতা আর বেলাল্লাপনা এখন হয়েছে প্রযুক্তিমনা, মাত্রা ছাপিয়েছে যে বিজ্ঞানের শাপ,  
যৌনতা আবেদন কিম্বা তা নিবেদন হরহামেশা চলছে দেশে, কে কার বুকে দেয় ঝাঁপ!
পাশ্চাত্য ডামাডোলে লজ্জা গেছে ভুলে, কতো যে ছেলেমেয়ে ডুবে গেছে ঘোর অন্ধকারে!
দিনের সুন্দর আলো যাকে দেখাচ্ছে ভালো, রাতের অন্ধকারে সে-ই কী না করতে পারে!  
কী যে নেশায় মেতেছে এ পেশায় শত শত তরুণী, যুবতী, বিবাহিত নারী নামে-ছদ্মনামে
যাচ্ছে পুরুষের কাছে, বিলোয় যা যা আছে; সতীত্ব-সম্ভ্রম-লজ্জা-শরম ধুয়ে যায় দেহ-ঘামে।
কেউ বুঝে, কেউ না বুঝে বিছানা সঙ্গী খুঁজে, সময়ে-অসময়ে মেতে উঠে কামনার খেলায়,  
কে কার ঘরে হায়! সেটা বোঝা বড় দায়; কেউ স্বেচ্ছায় আনন্দে মাতে, কেউ অবহেলায়।
কেউ ফের মধ্যস্বত্বভোগী, করে হিসেবের ভাগাভাগি দেহ ব্যবসায় কার আয় আসে কতো,  
অনলাইনে অর্ডার নেয়া অনলাইনেই হিসেব দেয়া আর তরুণীকে পাঠানো হবে জায়গামতো। ৬১০  
ই-কমার্স, ই-শপিং, ই-বিজনেস, ই-মার্কেটিং, আরও কতো শত নামে চলে পণ্য ডেলিভারি,
কতো যে অসাধু লোকে শুধু অর্থের ঝোঁকে পণ্যের মতো করে চাহিবামাত্র বেচে দেয় নারী।  
সময়ের স্রোতে ভেসে নির্বোধের হাসি হেসে ইচ্ছে করেই কেউ জীবনটাকে করে বরবাদ।  
কেউ অভাবে পড়ে এমন পাপ কর্ম করে, অর্থের লোভে কেউ পেতে দেয় প্রতারণার ফাঁদ।
কেউ হয় ‘এসকর্ট গার্ল’, কেউবা ‘কল গার্ল’, কেউবা প্রেমিকা সেজে পুরুষকে আনে ঘরে,
কেউ নাম ‘কল বয়’ রেখে মুখেতে প্রসাধনী মেখে কামোন্মত্ত নারীদের বাসনা পূরণ করে।  
কেউ যায় হাই ক্লাসে, কেউ ছোটে লো ক্লাসে, কেউ পথে পড়ে থেকে রূপে নেই দাম যার,
রূপে যে বাগাতে পারে টাকার অংক বাড়ে, ই-ব্যাংকিং বা অনলাইনে অগ্রিম পেমেন্ট তার।  
আয় যতো যাই হয়, তবু জীবনযুদ্ধ জয়; যে যার মতো করে দেহ বিকিকিনিতে হাঁকে দাম,
শ্রমজীবী মানুষে কিম্বা অমানুষে কিম্বা উঁচুতলার সাহেবেরা দরে সম্মতি দিয়ে মেটায় কাম। ৬২০
  
(চলবে)