পুলিশ প্রশাসনে যারা সুবিধা নিচ্ছে তারা, নাকের ডগার উপর ঘটে কতো অশালীন কর্ম,
দেখেও না দেখার ভান অনেকেই করে যান, সব জেনেও বসে থাকা-বাড়তি আয়ের ধর্ম।
নিরাপত্তার চাঁদরে ঢেকে বাইরের আড়ালে রেখে চলে সার্কাস-লটারীর নামে কতো খেলা,
যাত্রা নাটকের নামে দেদার অশ্লীল কামে চলে আয়োজন, চলে জুয়ার আসর, রঙের মেলা।
কিশোর তরুণ যুবক কিম্বা আনাড়ি বৃদ্ধ সবারই দেখা মেলে এ আসরে, দুহাতে অর্থ বিলায়,
খোলা আকাশের নিচে কিম্বা স্কুলের মাঠে, কিম্বা ঘাটে-চরে অশ্লীল নগ্ন নৃত্য চলে অবলীলায়।
ছাত্র-শ্রমিক-পেশাজীবী-কপর্দকশূন্য-বিত্তবান আর ভণ্ড ধার্মিকের দল ভিড় করে এসে রাতে,
জুয়াড়ির আসর বসে, উন্মাদনা আসর শেষে সবাই আনন্দে মাতে নগ্ন-অর্ধনগ্ন নারীর সাথে।
উঠতি বয়সী যারা সহসা পচছে তারা নষ্ট হচ্ছে স্বভাব সচ্চরিত্রের অভাব, ডুবছে অন্ধকারে,
নারী আসক্তি তারে টানছে নেশার পাড়ে, নারী আর মাদক নেশায় ছাই করছে জীবনটারে। ৬৩০  
বিজয়ের মাসে মাঠে বা ঘাটে কিম্বা পশুর হাটে চলে নোংরা সার্কাস, যাত্রা, যাদু আর মেলা,  
র‍্যাফেল ড্র, হাউজি জুয়া, নেশার মাদক আর গাঁজার ধুঁয়া, সাথে অশ্লীল গানে উদাম খেলা।
মাদকের ব্যবসাটার জোয়ার চমৎকার, মেলা আর যাত্রার নামে মাদক বেচে কামায় টাকা,
অভাবে যার বসবাস তারই হয় সর্বনাশ, আয়-সঞ্চয় উড়িয়ে শেষে নিজের ঘরও করে ফাঁকা।  
অশ্লীল নাচ গান আর নেশা জুয়ার টান নিঃস্ব করছে যারে সে জ্বালিয়ে দিচ্ছে আগুন ঘরে,
সংসার, সন্তান-বউয়ে নেই পিছুটান, ঘর ছাড়া হয়ে কেউ কেউ জুয়ার আসরেই কেঁদে মরে।
কেউ ফের মাদক খেয়ে টাকা বা যৌতুক চেয়ে স্ত্রীকে মারধোর করে সংসার করছে ছাই,
কেউ নামে চুরিতে, কেউ ওঠে গাড়িতে মারতে লোকের পকেট, কেউ কেউ করে ছিনতাই।  
প্রভাব তো সীমাবদ্ধ নয়, হাতাহাতিও হয়, রেষারেষি থেকে বাড়ে খুনখারাবি, রক্তপাত খেলা,
কে করবে বন্ধ এ নোংরা সংস্কৃতি? সবাই জানে কাদের প্রভাবে হয় এসব অশ্লীলতার মেলা। ৬৪০


(চলবে)