পাচার করে নিত্য মানব চোরাচালানে হচ্ছে দানব কতোজনে রাজনীতি-পেশীশক্তির ছত্রছায়ায়
কেউ আনছে বিদেশ থেকে সোনার চালান অঙ্গে ঢেকে, পোষাকে গেঁথে কালো টাকার মায়ায়।
কেউ খেয়ে সেই সোনার বার পেটের ভিতর বয় সে ভার, কেউবা সেলাই করে নেয় দু’পায়
লাগেজ মাঝে বেশ যতনে লুকোয় সোনা যাত্রা ক্ষণে, সুকৌশলে তল্লাশিতে চোখ এড়িয়ে যায়।
যদি কেহ পড়ছে ধরা সে যেনো এক ঘাটের মরা, লোক দেখাতে প্রচার হবে, রহস্যটা অধরা,
কোথা থেকে আসে সোনা, কোথায় যাবে কেউ জানে না, কালেভদ্রে চালান ধরা শুধু দায়সারা,
কেজি কেজি সোনা আসে, কেউ পার পায়, কেউ ফাঁসে, প্রেসের লোকে তুলে ছবি ছাপবে তাই,
কী হলো সেই আটক সোনার, কে তার আসল ওনার, চাপা পড়ে যায় যে সব, আর খবর নাই।
সংঘবদ্ধ চক্রে যারা প্রতাপশালী লোক যে তারা, টাকার চালে নেয় যে কিনে প্রশাসনের লোক,  
ক্ষমতাধর নেতার বাগে চালানের এক অংশ লাগে, ইমিগ্রেশন বিভাগেও আছে লোভের চোখ। ৬৯০
দায় নিয়েছে যে পুলিশে তাদেরও কেউ ভাগের আশে যাচ্ছে দিয়ে সহায় যতো সাধ্য আছে যার,  
দেশ-বিদেশের সিন্ডিকেটে চক্র বেঁধে কৌশল এঁটে কর্তৃপক্ষের মদদ পেয়ে করছে সোনা পার।
মাফিয়াদের সাথে হাত মিলিয়ে দেশের স্বার্থ দেয় বিলিয়ে কর্তৃপক্ষের শীর্ষপদে থাকা কতোজনে!
হাতেনাতে যারা পড়ে যায় ধরা তাদেরও সিন্ডিকেট থাকে ঠিক করা, জামিনে মুক্তি পায় তক্ষণে।
বিমানবন্দরে পর্যটন কর্পোরেশনের কাউন্টারে, বাথরুম, টয়লেট, বিমানের হ্যাঙ্গারে সোনা রাখে  
বিএফসিসির উচ্ছিষ্ট খাবারে কিম্বা মলমূত্রের ট্রলিতে, কাগজ-রাবারে, কার্গো গোডাউনের ফাঁকে
সুইপার কিম্বা সুপারভাইজারও জানে সোনা লুকানো আছে কোন খানে, কেউ কাউকে বলে না,  
সোনার ভাগে তারাও থাকে, তাইতো চালান ঢেকে রাখে, তথ্য চাইলে গলা থেকে শব্দ গলে না।  
চালানসহ ধরছে যাদের নামকাওয়াস্তে হয় তালিকা তাদের, তদন্তের নামে শুধু কালক্ষেপণ তাই।  
নাটের গুরুর হয় না কিছুই, দেশের উন্নয়ন থাকে পিছুই, ধৃত সোনায় অকেজো রিজার্ভ বাড়াই। ৭০০


(চলবে)