রেলপথে বাঁশের ফালি! রেলনীতিতে মাখলো কালি। সেই কালিমা দূর করতে পারবে কেউ?
ভুক্তভোগী যাত্রীর দল অভিযোগে পায় না ফল, অসীম বিরক্তি-ভোগান্তি আনে হতাশার ঢেউ।  
নদীপথেও ভোগান্তিটা নিত্য খেলে জোয়ারভাটা, নৌপথে জেঁকে বসা যে ব্যবসায়ীদের বিকার,
সময়ক্ষেপণ, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি মানে না ন্যায় অন্যায়, নৌসার্ভিস নানামুখী ষড়যন্ত্রের শিকার
অশুভ চক্রের দল সক্রিয় হয়ে অবিচল নিজ লাভের ভাগ বাড়াতে নৌপথকে করে অকার্যকর,
ফেরি-জাহাজ ব্যবসায়ী-নেতা বিআইডাব্লুর অসাধু কর্তা, রাজনীতিবিদ জনপ্রতিনিধিও তৎপর
নৌপথে ব্যবসা করতে নেমে লোভের লাগাম না যায় থেমে; অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা সীমাহীন,  
ফিটনেসবিহীন জাহাজগুলো লাইসেন্স পেয়ে এলোমেলো চলছে সদা যাত্রীদের করে স্বস্তিহীন।
মজুরী বৃদ্ধি, মূল্যায়ন, ক্ষতিপূরণ পুনঃনির্ধারণ কিম্বা সন্ত্রাস, ডাকাতি, চাঁদাবাজি বন্ধে ধর্মঘট
নৌপথ শ্রমিকদের নিত্য ধর্ম বাঁধাগ্রস্ত করে স্বাভাবিক কর্ম, যা নৌপথে আনে ভোগান্তির জট। ৭৭০  
উৎসবে বিশেষ সেবার নামে পুরনো জাহাজ নতুন খামে ত্রুটি নিয়েও যাত্রাপথে চলে বেশ!
মৌসুমি অধিক লাভের তরে যাত্রী ওঠায় বোঝাই করে, মাঝনদীতে জাহাজ ডুবে জীবন শেষ।
ফেরি কিম্বা লঞ্চের ঘাটে মনিটরিং টিমও হাঁটে, সাইডপকেটে ঘুষটা পেলেই দেয় সনদ ছাড়!  
জীবন গেলো কোন সে জনের চিন্তা তা নয় কোনও জনের! দায় এড়াতে যুক্তি মেলে চমৎকার।
লঞ্চ-জাহাজের একটা কেবিন যেন কোনও সোনার হরিণ সেটা পেতে হলে বেশি টাকা চাই,
খেঁটে খাওয়া শ্রমিক জনে মৃত্যু ঝুঁকি আলিঙ্গনে পাটাতনে—ছাদে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করছে তাই।  
সরকারী কিম্বা বেসরকারী সব যানেই আছে অন্যায়কারী, টিকেট কালোবাজারির সিন্ডিকেট
ক্যান্টিন বা ছোট ক্যাফে খদ্দেরকে ফেলে চাপে, নিম্নমানের খাবারেও বাড়ায় লাভের রেইট।  
নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌপথকে ভালোবেসে, কিম্বা কোনও শখের বশে ভ্রমণ করেন যিনি
লঞ্চ-জাহাজে যাত্রা হলে কী যে ভোগান্তির তলে হরহামেশা পড়তে হয় ভালো বুঝেন তিনি। ৭৮০  


(চলবে)