ওরে আমার পরাণ পাখি
বুক পেতে আজ তোরে ডাকি,  
শুনতে কি তুই পাসনে?
মাথার উপর ফুড়ুৎ করে,
এপাশ ওপাশ বেড়াস উড়ে
থামতে কি তুই চাসনে?


ওরে আমার পরাণ পাখি
আয় না তোরে খাঁচায় রাখি,
থাম না এসে বুকে।
বুকের খাঁচা শূণ্য রেখে,
কষ্ট আমার অঙ্গে মেখে,
থাকবি কি তুই সুখে?


ওরে আমার পরাণ পাখি,
তুই বিহনে কেমনে থাকি?
বুঝিস না কি কিছু?
এবার যদি না দিস সাড়া,
হবো আমি পাগলপারা,
মৃত্যু নেবে পিছু।


ওরে আমার পরাণ পাখি,
পাগল হয়ে যাচ্ছি ডাকি,
ধরবো কি তোর চরণ?
আসিস যদি কভু ফিরে,
দেখিস আমার বুকটা চিঁরে
কেমন রক্তক্ষরণ।  


তুই বিহনে একলা থাকা
ভরা ভুবন দেখায় ফাঁকা
করিস নে কি স্মরণ?
সকল প্রহর তোর পানেতে
বেড়াই ছুটে সবখানেতে,
চাস কি আমার মরণ?


বুঝি না তোর হৃদয় কেমন!  
দূরে কেনো থাকিস এমন?
আয় না কাছে, পাখি।
তুই বিহনে দিবা-নিশি
হাতে নিয়ে বিষের শিশি
অপেক্ষাতেই থাকি।


ওরে আমার পরাণ পাখি,
এমন করে দিস নে ফাঁকি,
আয় না ছুটে কাছে,
তুই বিহনে বুকের মাঝে
শেষ প্রহরের ঘণ্টা বাজে,
প্রাণটা কি আর বাঁচে?


এবার দিলাম দোহাই ছুঁড়ে,
বেড়াস যদি উড়ে উড়ে,
বুঝবি তবে বেশ।
রেখে আমায় তোর হেলাতে
আসবি যখন শেষ বেলাতে
দেখবি আমার শেষ।