ফের এসেছে দেখো হিংস্র শকুনের দল,
খুবলে খুবলে খাবে নিরীহ মানুষ সকল।  
মাথার উপরে উড়ে সব বুভুক্ষু চিল,
খাবে সব গিলে ভেঙ্গে রক্ষা পাঁচিল।
নেকড়ের দল বুঝি ফের এলো ছুটে,
যা আছে বেচারী দেশে খাবে কেটেকুটে।
ঐ দেখো, ঘুরছে কেমন হায়েনার দল,
এই বুঝি বয়ে যাবে আবার রক্তের ঢল।
জ্বলছে তৈল বোমা, শুঁকি বারুদের গন্ধ,
গেলো বুঝি হাত-পা, হলো কেউ অন্ধ।
ফের দেখো নরপশু আসে কতো দর্পে,
ছোবলে মারবে মানুষ এই মনুষ্য সর্পে।
দেশটা হয়েছে বুঝি এক টুকরো মাংস,  
কাড়াকাড়ি করে খাবে যে যার অংশ।
সোনার বাংলায় এখন কে থাকবে সুখে?
দেশ পড়ে গেছে যে সব হায়েনার মুখে।
যার দেহে যতো জোর, পেশী যতো শক্ত,
সেই যেনো বেশি খায়, খায় মাংস-রক্ত।
খায় নারী, শিশু সব, বাদ দেয় না বুড়োটা,
খেয়েই ফেলবে বুঝি বাংলাদেশের পুরোটা।  


(২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা দেখা দিয়েছিলো। টানা তিন মাসের হরতাল-অবরোধে ট্রেন-বাস-ট্রাক-টেম্পুতে ছোঁড়া  পেট্রোল বোমার আঘাতে শতাধিক মানুষ পুড়ে মারা যায় এবং অনেকেই দগ্ধ হয়। কবিতাটি সেই নৃশংস হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ লেখা। রাজনীতির নামে বাংলাদেশের মানুষকে যেনো আর কখনও এরকম সহিংস পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে না হয়- এই কামনাই করি।)


রচনাকালঃ ২০ নভেম্বর, ২০১৩