...রূপের প্রাসাদ গড়ো, তোমার চিত্তে শুধু অহমের ঢল,
  তোমার প্রাসাদে চিল ঢুকে, বের হয় বহু শকুনের দল।  
লোলুপ চাহনি তোমার, হায়েনার সাথে রোজ করো বাস
কামনার বেড়াজালে নিজেরে জড়ায়ে করো নিজেরই সর্বনাশ।
সময়ের স্রোতে ভাসো, নির্লজ্জের মত হাসো তুমি দিন রাত,  
  পিশাচের ফাঁদে পড়ে নিজেই করো নিজের যবনিকা পাত।  
কারোও সাবধান বাণী ধরলেও পিছে টানি তারে পায়ে দলে  
নীচু কোনো লালসায় জানোয়ারের হাত ধরে যাও দূরে চলে।  
মানো না তো ভ্রাতা-বোন, পিতা-মাতা মানো না তো কিছু,
   কাণ্ডজ্ঞান সবই ভুলে ছুটে চলেছো শুধু নরাধমের পিছু?    
  যখন সময় ছিলো, সম্ভিত নিয়ে তুমি করো নি তো কাজ,  
  আজ হারিয়েছো সবই, ওহে কলঙ্কিনী বেহায়া বেলাজ!  
নেই ক্ষমা লালসাময়ী, চোখে ঝরে কেনো অনুতাপের জল!  
দূর হ পোড়ামুখী, কোথায় হারালো তোর যৌবনের ভ্রমর সকল?
  পরোয়া করো নি তো কিছু, দিনে দিনে বাড়িয়েছো শুধু পাপ,
বিধাতাও ফিরিয়েছে মুখ, তবে কেনো করো আজ শুধু অনুতাপ?



(কবিতাটি 'সময়ের স্রোতে গা ভাসানো মেয়েদের' উদ্দেশ্য করে লেখা।)