বাঁধনহারা মানুষ আমি
ঘুরছি যেথায় ইচ্ছে,
ডানা মেলে যাচ্ছি উড়ে
শুনতে পরীর কিচ্ছে।
নানান রঙে সেজে আমি
পাখির সাথে মিশে
বৃক্ষলতায় সময় কাটাই
খুঁজি নাতো দিশে।
স্রোতস্বিনীর জলের ধারা
পড়ছে আমার গায়ে,
ইচ্ছে হলেই ডানে উড়ি,
ইচ্ছে হলেই বায়ে।
শিকলবিহীন পা দুখানা
শিকলবিহীন পাখা,
আমি উড়ি আমার মতো,
যায় না বেঁধে রাখা।
দুঃখ পেলে যাই তা ভুলে,
আনন্দেতে হাসি,
আঁধারটাকে টুটে আমি
আলোর ধারায় ভাসি।
সকাল বেলা ভাসিয়ে ভেলা
বসে মেঘের কোলে  
নীল আকাশে পরশ বুলাই
আনন্দে প্রাণ দোলে।
দুপুরগুলো রৌদ্রস্নাত
উষ্ণতা দেয় ভরে
আদরমাখা দেহে আমার
প্রাণ ছলছল করে।
পড়ন্ত সব বিকেল বেলা
উড়ছি গানের তালে,
সন্ধ্যা বেলা জোস্না দোলায়
হাসনাহেনার ডালে।
সুখের ঘরে ঘুমের নেশায়
রাত্রিগুলো শেষ!
ভোরের আলো সে ঘুম ভেঙ্গে
করে নিরুদ্দেশ।
সুখের দোলায় দুলি আমি,
সুখেই ভরে প্রাণ,
বাঁধনহারা কন্ঠেতে গাই
স্বাধীনতার গান।