আমি এক অসহায় মেয়ে আমি ধর্ষিতা,
অত্যাচারিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারেনি আমার মাতাপিতা।
নিরীহ আমাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেছে ঐ বখাটের দল,
আমার ছিলনা কোনো শক্তি, ছিলনা কোনো বল।।


মম চিৎকারে গগন-অবনী হয়েছে কম্পিত,
তবুও ঐ পাষাণের দল হয়নি কুন্ঠিত।
আমার ধর্ষণ নিরবে সবাই করেছে দর্শন,
প্রতিবাদ করেনি কেউ, গলেনি আমার প্রতি কারো মন।।


সমাজে আমি এখন কলঙ্কিত,
তবুও যে আমি এখনও জীবিত।
একাত্তরে যারা ধর্ষিতা হয়েছেন তারা উপাধি পেয়েছে বীরাঙ্গনা,
কিন্তু আমায় যে কলঙ্ক দেওয়া ছাড়া কোনো উপাধি দেওয়া মানা।।


ধর্ষকদের সাথে আমি দর্শকদের ও শাস্তি চাই,
ওদের শাস্তি ব্যতীত আমার যে কোনো শান্তি নাই।
আইনের দ্বারে, ঘুরেছি আমি বারেবারে,
কিন্তু কেউই আমায় সাহায্য করেনি, হায়রে।।


উপরের আদেশে কলঙ্কিত করে আমায় দিয়েছে ফেঁসে,
বলুন আমি নায্য আইন পাবো কোন দেশে?
সবাই আমায় নষ্টা বলে, করে অপমান,
সম্ভ্রম কেড়েছে ওরা আর আমি সম্ভ্রম দিয়ে পাই অপমান।।


ধর্ষিতা হলেও আমার তো আছে একটি পবিত্র সত্তা,
এই কলঙ্ক নিয়ে আমি আর বাঁচতে চাইনা, করতে চাই আত্মহত্যা।
অত্যাচারিদের যদি হইতো বিচার, যদি ওরা থাকতো কারাগারে,
তাহলে আমি আমার আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত থেকে হয়তো আসতাম ফিরে।।


ধিক শত ধিক এইসব অন্যায়কে,
আর মেনে নিতে পারলামনা আমি আমার পরাজয়কে।।