ভাবছি আর এক বার ফিরে যাবো;
সেই চির চেনা মহল্লায়
যেখানে প্রত্যহ সকালে হেঁটেছি আমি
হেঁটেছি শুধু দেখতে তার মুখ।
মিষ্টি রোদের মিষ্টি আভা থাকতো তার গালে
আমায় না দেখলে ভাসতো আঁখি জলে।
কাছে গেলেই ছুটে পালাতো
তবুও কি যে ভাল লাগতো।


তখন সবই ভাল লাগতো;
ভাল লাগতো দুপুরের তপ্ত রোদ
ভাল লাগতো গলির ভিতর
ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের হুটোপুটি।
ভাল লাগতো উদাস হয়ে যাওয়া
আবার আপন মনে গুন গুন গান গাওয়া।
আহ ! প্রেম, সে তো নাড়ির স্পন্দন
রক্তে মেশা নীল বিষ
সেই বিষে আমি হই নি কখনো অসুস্থ
তবে হয়েছি অস্থির আর একটু ক্লান্ত।


আজ আমি আবার ফিরে যাবো;
তার কাঁপা কাঁপা ঠোটের কাছে
তার পেলব হাতের স্পর্শ নিতে
কিন্তু সে তো শুধু একটু ছোয়া।


তারপর সেই দৌড়;
ব্যাকুল চোখে তাকিয়ে থাকা।
আহ! আমি আবার ফিরছি
সেই সকাল, সেই রোদ
সেই প্রিয় মুখ।


আমি ফিরে এসেছি;
কোথাও মানুষের কোলাহল নেই
শুধু আছে কুকুরের ঘেউ ঘেউ
ছেলে-পেলেদের হৈ হৈ নেই
মুখ থুবড়ে পড়ে আছে মহল্লা।


এখনো সকালের অনেক দেরি;
ঘুমিয়ে আছে সেই প্রিয় মুখ
ঘুমিয়ে আছে সূর্য্য।
আমিও কি একটু ঘুমাবো?
ঘুমাতে গিয়েই দেখি
ঘুম নেই আমার চোখে
নাড়িতে কোন স্পন্দন নেই
স্পন্দন নেই হৃৎপিন্ডে;


আমি স্তব্ধ,
আমি বিহ্বল হয়ে তাকিয়ে আছি শূন্যে!
আমার দেহ কি মৃত
আমি কি শূন্য
আমার বাস কি শূন্যে!!