খুব উপহাস করেছিলি সেদিন, অনেক অনেক!
তবুও সব কিছু থেকে পাথর কুঁড়ানোর মত করে অনেক ভালবাসা কুঁড়িয়েছিলাম
দিন শেষে অবাক হয়ে দেখি সামান্যতমই স্মৃতি!
রাত শেষে কিছু কথা বলবো বলে রাতভর কথা জমিয়ে রেখেছিলাম স্মৃতির পাশে
এটা বলবো না, ঐটা বলবো। এভাবে বেছে বেছে যা নিয়েছিলাম তা তো শুধু কথা নয়, গভীরতা!
স্মৃতি আর না বলা কথা ঠাঁয় পেয়েছিল বুকের বাম পাশের গভীরতায়।
সেই কথা আজও বলা হয় নি, শুধু জমেই চলেছে কথার মালা
এখন সেখানে ব্যাথা হয়, উপহাসের চাইতেও বেশি অনুভূত হয়।


এই বুঝি যাবার সময় হয়েছে
মেঘের ভেলায় চড়ে মেঘ ঠেলে ঠেলে মেঘের ওপারে।


আহ!
চলে যাবার সময়ও কি বলবি তোরা, কিছু পেতে চাওয়াটা মস্ত বোকামি!
উচ্চস্বরে কি আগের মতই হাসবি তোরা, আমি বোকাই হতে চেয়েছি বলে।
অনেক আকুলতা নিয়ে যা শুনতে চেয়েছিলাম তোর কাছে
তুইও কি আগের মতই জেদ করে বলবি, বলবো না বলবো বলবো না।
একটু কিছু তো দে তোরা, আসীম সময়ে একটু চোখ বোঁজার জন্য
অনেক চাইনি, তোরাই রেখে দে সব,
চলে যাবার পর ভুলেও যাস পরিচয়, শুধু হৃদয় থেকে একটু দে হৃদয়।
আমি রক্ত লালে রাঙ্গাবো, মেঘের ভেলায় ভাসাবো
একদিন ঘুম ভেঙ্গে কেউ আর সাদা মেঘ দেখবে না
তোদের হৃদয় দেখবে আকাশ জুড়ে।
দেখ, আমার মতই চোখের জলেরাও কি বোকা!
হৃদয় রাঙ্গা আকাশ দেখবে বলে ভীড় জমাচ্ছে চোখের কোণে!
সময়ের আগে বেরোলে যে তেষ্টা নিয়ে ফিরতে হয়;
চোখের জলের আবার তেষ্টা কিসের!
গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ার বা শুকিয়ে যাবার অপেক্ষাতেই তো তাদের অপেক্ষা।
শুধু অপেক্ষা আর অপেক্ষা;
চলে যাবার অপেক্ষা, অনন্ত সময়ে আবার দেখা হওয়ার অপেক্ষা।
শ্লোক বলার অপেক্ষা,
অনেক হয়েছে পথ চলা, এবার যাবার পালা।
তারপরে,
চলে যাওয়ার মুহূর্তের অপেক্ষায় শুধু দীর্ঘঃশ্বাস।