ঘড়ে নাই চাল
পেটে নাই ভাত,
দে মা, দুমুঠো চাল
খুলে যাবে তোর বরাত।।


তোমরা একটু সাহায্য করো
আমি বাচ্চা একটা ছেলে,
করতে হবে না ভরন পোষন
একটা করে টাকা দিলেই দিন যাবে চলে।।


মাগো, বাবাগো
আমি একজন বৃদ্ধ মহিলা,
করতে পারি না কোন কাজ কর্ম
তাই পেটে থাকে ক্ষুদার জ্বালা।


একটা টাকা দিয়ে
এই বুড়ো মা'র করো উপকার,
একটা টাকার বিনিময়ে
সাত রাজার ধনে ভরে যাবে তোমার ঘর।।


ভিক্ষে তো চাইনি বাবাগো!
চেয়েছি আমার প্রাপ্য অর্থ,
৬০ বছর বয়সে রিক্সা চালিয়ে
দু-মাইলেও কি ২০ টা টাকা নয় আমার প্রাপ্য??


*********** ***********


হে মানুষ, বলছো তোমরা কাদের কি কথা?
শরীরে ওরা মানুষ হলেও মনে তো মানুষ নয়,
তোমাদের হাহাকারে ঝরবে গাছের পাতা
কিন্তু ছাড়বে না ওরা মানুষ হওয়ার অভিনয়।


*********** ************


ইতিহাসের পাতা খুলে, দেখা যাবে হয়তো
আজকের দিনটা কোন জাতীয় স্মরণীয় দিন,
এই দিনেই রক্তে লেখা বিজয় এসেছে হয়তো
হয়তো বা এই দিনটাই বরনীয় কারও জন্মদিন।


হয়তোবা এই দিনে জাতির রক্তে ভেসে গিয়েছিল দেশ
অথবা, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার পেয়েছিল কেউ এই দিনে,
হয়তোবা, কোন বীর জয় করেছিল শত দেশ
তাই ঘরে ঘরে আলোর বন্যা বয়ে যাচ্ছে তারই সম্মানে।


যাদের স্মরণে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে ঘরে ঘরে
তারা তো এমন আনন্দে মেতে ওঠেনি কোন দিন!
কারন তারা যে মনে প্রানে মানুষ ছিল শরীরের ভিড়ে
জীবনের মূল্যবান সম্পদ দিয়ে শোধ করেছে বিবেকের ঋণ।


আর এই দেহগুলো বিবেকের ঋণ শোধ করছে আনন্দ করে
অপমান করছে স্মৃতিময় সোনালী সময়ের ধারাকে,
কত হাত খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে দ্বার থেকে দ্বারে
অথচ তা না দেখার ভান করে জানোয়ারের চিহ্ন আঁকছে বুকে।


************ *************


তাই, দ্বারে দ্বারে ঘুরো না তোমরা
কোন লাভ নাই আহাজারি করে,
এই আর্তনাদ শুনবে না কোন মানুষ ছাড়া
আর কয় জনই বা মানুষ আছে এই জগত সংসারে।


সবাই হাঁটছে হন্ত-দন্ত, তাকানোর সময় নাই কারো
মুখে পিশাচের হাসি, আত্মার আত্মীয়তা আজ বিলীন,
ছলকে ওঠে বুকের রক্ত, তাপদাহে তোমরা আজ শ্রান্ত ক্লান্ত
এবার তো থামো, আর নির্বিকার ভাবে বয়ে চলো না সবার ঋণ।


*********** *************


ধিক্কার জানাই, জাতি তুই আর কত এড়াবি অপমান
কবে তুই মানুষ হবি ছাড়বি মানুষ হওয়ার অভিনয়,
এবার তো ফিরে আয়, দেখ চেয়ে আছে তোর সন্তান
তোর হাত ধরেই যে সে শোধরাবে তোরই ঋণের দায়।