আকাশের মেঘের সাথে মন মিলিয়ে উড়ে দেখো
এই পৃথিবী বড়-ই মরুময় মনে হবে
তুমি দেখবে তোমার অপেক্ষায় প্রহর গুনে গুনে
মরীচিকার আড়ালে উদ্দেশ্যহীন পথিক
তোমার পানে চেয়ে চেয়ে ক্লান্ত হয়েছে
তখন কি তুমি বৃষ্টি হয়ে ঝরবে।  


চাঁদের সাথে তোমার হাসি  মিশিয়ে দেখো
কতো অন্ধকার রাত তোমার অপেক্ষায় বিদীর্ণ হয়েছে
কতো জোনাকি অক্লান্ত পরিশ্রম করে ব্যর্থ
রজনীর বুকে একমুঠো হাসি ফোটাতে
তখন কি তুমি মনের হরষে হেসে হেসে  
জ্যোৎস্না হয়ে ধরা দেবে রাতের আঁচলে।


জীবনের সুরের সাথে সুর মিলিয়ে দেখো
কোনো এক গ্রাম্য জলসা ঘরের নিরানন্দ উৎসবে
অবাক করা নিস্তব্ধতা যখন কুড়ে কুড়ে খায়  
তোমার অপেক্ষায়, প্রণয়ের আশায়
তুমি কি আবেগ মাখা হৃদয় নিয়ে
সুর হয়ে সুদূর থেকে ভেসে ভেসে আসবে।


অরণ্যের সবুজের সাথে মিশে একটু  অনুভব করো
গাছ-গাছালী মাঠ প্রান্তর, হিজল অশ্বত্থ জলপাই
নিঃস্ব হয়ে আছে তোমার ছোঁয়ার  অপেক্ষায়
পাতাগুলো মলিন হয়ে ঝরে পড়েছে নীরবে
তুমি উত্তরের প্লাবনী সবুজ বাতাস হয়ে
আলতোভাবে ছুঁয়ে যাবে অরণ্যের শিরায় শিরায়।


যদি কখনো  আধো আলো আধো ছায়া হয়ে
ভোরের আকাশের লাল প্রান্ত ছুঁয়ে যেতে ইচ্ছে করে
রক্তিম আভার মুকুট পড়ে স্পর্শ করতে চায়  
মায়াহীন ভালোবাসাহীন এই ধূসর জগতের হৃদয়
তুমি কি মনের সব মাধুরী ঢেলে নির্বিশেষে
হৃদয় গহীনে ফুটবে বুনো অর্কিড হয়ে।
_____________________
রচনাকাল: হিমেল  সকাল  ১১.৫৫ মিনিট
২৭-ই অক্টোবর বুধবার ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ  
১১- ই  কার্ত্তিক ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
১৯-ই  রবিউল আউয়্যাল ১৪৪৩ হিজরী  
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে  
©️ Copyright সংরক্ষিত ®️