যখন আধঘুমে পৃথিবীর সব প্রাণী
তন্ময় শিশির কুয়াশায় বিভোর হয়ে,
কিছু ভুল সময় আজো মনে করিয়ে দেয়,
লোভহীন শ্বাপদের মত নিশাচর স্বপ্নগুচ্ছ
টুকরো টুকরো হয়ে ঝরে শুভ্র জ্যোৎস্নার শরীর বেয়ে,
কেউ কি দেখে তার ঘুমন্ত বেদনা ?
নাবিকের কম্পাসের মত ধীর গতির ধ্রুব বেদনা ...।


কতদিন অজস্র ঢেউ এসে ছুঁয়ে গেছে তাকে,
না ভেজা কাপড়ের তীব্র আকাঙ্ক্ষায়,
কি করে বুঝাই, সেই ব্যথাকে,
সবাই কি পায় ছুঁতে অনুভূতির অলিন্দ।

এই পৃথিবীতে কতো প্রজাপতি উড়ে বেড়ায় সর্ষের হলুদ বাতায়নে
ভাসে কিশোরী মন খোলা হাসি,
ঝুমকো জবা-নাকের নোলক দোলে,
আরশির আঙিনায় বাড়ে একাকী তার যৌবনের ছাপ।


আমার সময়ে বয়ে যায়, কম্পাসের কাটার গতিতে
এ'দিক থেকে ও'দিক, এ'বন্দর থেকে ও'বন্দরে,
মুহূর্ত ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয় শতাব্দীতে
ভালোবাসা, প্রেম, আকাংখ্যা, সব থাকে ঠিক আগের মতোই
শুধুই সময় গড়িয়ে যায় নীল বেদনার সিঁড়ি বেয়ে
নীহারিকা ভরা কোজাগরী আকাশের বুকে
চেয়ে থেকে নির্বাক অপেক্ষায়,
কবে গিয়ে পৌঁছবো যাযাবরির যবনিকার।
_________________
রচনা: উজ্জ্বল দুপুর  ২.৪৫ মিনিট
১৫ এপ্রিল শুক্রবার ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ  
০২- এ বৈশাখ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
১৪-ই রামাদান ১৪৪৩ হিজরী  
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে  
©️ Copyright সংরক্ষিত ®