আমি যীশু নই যে স্পর্শ করে ভালো করে দেবো
তোমার সকল রোগ ব্যাধি সকল অসমাপ্ত তৃপ্ততা,
আমি নই বুদ্ধ যোগাসনে বসে নিবিড় প্রার্থনার স্পর্শে
ঢেলে দেবো সকল স্বর্গীয় সুখের অকৃত্রিম স্বাদ।
কোন সম্রাট হয়ত দিতে পারে তবু কিছু উপশম ক্ষণিকের
আমিতো নই কৃষ্ণ কেন আমার স্পর্শে বিক্ষুব্ধ হবে সুস্থ।


তবুও তুমি যদি আমার কাছে সোনার হরিণ চাও
আশা করো অনেক কিছুই আমার কাছে
আমি তোমাকে দিতে পারি কৃষ্ণের বাঁশি,
অনিন্দ্য সুন্দর কল্পলোকের চাবি,
রাত দুপুরের গভীর নিস্তব্ধতায় কার্নিশ ধরে
একাকী হারাতে পারি তোমার সঙ্গী হয়ে।

আপন মনে তোমাকে কবলেই কিছু স্পর্শ দেয়ার  জন্য
বিশ্ব শক্তি থেকে আহরণ করি মহাজাগতিক  শক্তি
সবটুকু কেবল তোমার জন্য-ই
শরীরের সব রক্ত ধারায় মিশে যদি তোমাকে করে সজীব
শরীরের সপ্তম গ্রান্থী জুড়ে ললাট কপালের বিচিত্র ভাঁজে
তারই স্পর্শে যদি জেগে উঠো রোগ মুক্ত হও তুমি,
তোমার সকল ব্যাধি হয় দূর অবশেষে
সেই গুন আমার তো নয় সব টুকুই বিধাতার কৃপা।


তাই তো বার বার তোমাকে ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছে জাগে মনে
স্পর্শে অনুভবে ঘুমাই তোমার হৃদপিণ্ডের ভিতরে
তুমি দেখতে পারো তোমার মনের দর্পণের প্রতিচ্ছবিতে
আমার হৃদয় সেখানে ঘুমাও তুমি প্রহরের নীরবতায় নিয়ে  
নিত্য অনাদি কাল স্বপ্ন সুখের গভীর আনন্দ আহ্লাদে।
___________________________