চারিদিকে কতো মানুষ,কতো পথ, কতো গন্তব্য,  
সকাল থেকে বিকেল, সন্ধ্যা হতে রাত, পুনরায় ভোর
কতো ইচ্ছে ,কতো অভিলাশ, কতো দুরূহ
কিন্তু চারিপাশে এক যন্ত্রণা অবিরাম " ভালোবাসা"
জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ভাগ্যের পাদদেশের কাঁটা হয়ে
নিয়তি নামক অদৃশ্যের বেড়া জালের প্রবঞ্চনা।


সবাই বলে ভাগ্য নাকি উপরে ঈশ্বর নামক কেউ লিখে
তাহলে কি ঈশ্বরই ভালোবাসার বিদ্বিষ্ট জন
ভূপৃষ্ঠের মানুষ একদিকে ভালোবাসা অপর দিকে ঈশ্বর
এই দুইয়ের সাথে কতোকাল সংঘাত করবে,
প্রশ্ন জাগে যে ঈশ্বর হৃদয় বানিয়ে তাতে ভরে দিল প্রেম
তবে সেখানেই কেন দ্বন্দ্ব, নিষিদ্ধ ফল বলে।


ধরণীর বুকে যত অনুভূতি রয়েছে তাদের ভিতরে
ভালোবাসার অনুভূতি সব চেয়ে কষ্টের,
একসাথে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ করেই গন্তব্য যায় বদলে
ইন্দ্রিয় কিছু বুঝে উঠার আগেই অচেনা পথিক হয়ে
নিয়তির আয়না নিয়ে দাঁড়ায়, দৃষ্টিভ্রম প্রতিচ্ছবি হয়ে
হয়তো স্বার্থের টানে নতুবা অভিলাষের আঁড়ালে।


আমি আর কতো কাল এভাবেই যুদ্ধ করে যাবো
ঈশ্বর আর ভালোবাসার সাথে, একই সাথে,
কতো শতাব্দী সহ্য করতে হবে পৃথিবীর ঈশ্বর
আর অদৃশ্যের ঈশ্বরের বিরুদ্ধতা এভাবে নির্বাক হয়ে,
যাকে আমি ভালোবাসা ভেবে এসেছি এতোকাল  
সেতো শুধুই বৈপরীত্য, প্রহেলিকা, দুর্ভেদ্য মৃগতৃষ্ণা।
___________________  
রচনাকাল: আঁধার সন্ধ্যা ৬.২০ মিনিট
২৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ
১৫-ই  ফাল্গুন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে
© Copyright সংরক্ষিত ®