হঠাৎ! মিহি বাতাসে পাঁজর ছিন্ন করে
একটা মলাট বাধা চিরকুটে ভেসে আসে দূর হতে  
নিঃসঙ্গ কবিতার কান্না,কিছু আহত দীর্ঘশ্বাস।
প্রতীক্ষিত শহরের বুকে লেখা
কোটি কোটি অভিলাষী গল্পের ভীড়ে
আমি দেখেছি একে একে সব রক্তাক্ত শব্দের আঁচড়,
কি করে সাদা কাগজের আয়নায় ভেসে উঠে
নিমজ্জিত চোখে এক সাগর নীল কষ্ট
অভিমানে ভেজা এক বিমূঢ় পাণ্ডুলিপি।

শুনেছি পেয়ে হারানোর দুর্ভেদ্য ব্যথার গীতাঞ্জলি
হেমন্তের কুয়াশায় সূর্যের কিরণময় সন্ধিপথে
বিভ্রমের উদ্বেলিত অহর্নিশ প্রবঞ্চনা।
দেখেছি অনেকের দুটি কালো নিষ্প্রভ চোখে
শত সমুদ্র পোড়া তপ্ত অশ্রু,
নিঃশ্বাস জুড়ে থাকা অগণিত ভুল,
ক্ষণজন্মা তিথির অকস্মাৎ বিপর্যয়ে উদ্দামতা।


যখন মাথার উপর যবনিকা টেনে দেয়,
একঝাঁক অতৃপ্ত কাম্যতার অভিশাপ
গভীর থেকে গভীরে আমি তলিয়ে যেতে থাকি,
আমার নিষ্প্রাণ শব্দহীন চিৎকার আকাশ বিদীর্ণ করে
প্রতিরাতেই আমি দেখি বিভৎস স্বপ্ন,
আমি ভাবি নিরালায় বসে বসে নিশ্চুপ চোখে  
সত্যি কেন একটি শান্তির নিশ্বাস নেয়ার জন্য
পৃথিবীতে এতো কষ্ট এতো অবহেলা
চারিদিকে কেন এতো নির্দয় ভ্রষ্টাচার।
________________
রচনা: তপ্ত দুপুর ১২.৪৫ মিনিট
২৭ এপ্রিল বুধবার ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ  
১৪- এ বৈশাখ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
২৬-ই রামাদান ১৪৪৩ হিজরী  
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে  
©️ Copyright সংরক্ষিত ®