প্রতি মায়াবী সন্ধ্যায়, কাজের শেষে অবসন্ন শরীর,
ধীর গতিতে নিজ জীর্ণ কুটিরের দ্বারে,
সুখ স্বর্গ বলতে এটাই,
চাবিটাও আমার কাছেই থাকে
কখনোই ভীতর থেকে খোলার প্রত্যাশা রাখিনি
শতাব্দী ধরে নিজ হাতের বিস্বাদ রান্না খেতে খেতে আমি ক্লান্ত
চুড়িপরা হাতের ঝুন'ঝুন নিঙ্কন ধ্বনি মাখা
খাবার অনেকদিন খাওয়া হয়না
কেউ কখনো নিয়েও আসেনি একান্ত আদরে
অজস্র রূপসীদের ভির আমার একাকিত্বের ভূবন জুড়ে
আঠারো থেকে আটচল্লিশ ,
কত মায়া আর অগণিত প্রলোভন
শুধুই স্বপ্নকথার মাধুরী বাঁধা,
ভালোবাসার মানুষগুলো সত্যি-ই আজব
তাদের অদৃশ্য ভালোবাসা খুবই অসাধারণ হয়
যাদের সত্যি করে কাছে পাওয়া কখনোই ভাগ্যে থাকে না।
  
কবি'র বেলায়-ও তার ব্যতিক্রম নয়
কবি'র অসংখ্য ভালোবাসার মানুষের ভীড়ে
তাঁর একান্ত কেউ থাকে না,
কবি'র স্পর্শের বাহিরে অসংখ্য প্রেয়সী থাকে
তাদের অস্তিত্ব শুধুই কবিতার ভাঁজে
কল্পনার অবয়বে- স্বপ্নে তাদের বসবাস মাত্র
কবি তাদের নিয়ে প্রণয় বাসর সাজায়,
বাঁধে কল্পিত স্বপ্নের সংসার
ধীরে ধীরে জমা হয় পাতার পর পাতা,
শেঁওলা পরে পাণ্ডুলিপির স্তুুপে
কোন এক চাঁদিনী পসর রাতে নির্বাক
এভাবে-ই চলে যায় নীরবে অন্তহীন পথে  
কেউ থাকে না তাঁর সমাধিতে একটি ফুল দেয়ার জন্য।
_________________
রচনা : নীরব দুপুর ১২.৩৫ মিনিট
১০ এপ্রিল বুধবার ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে
© Copyright সংরক্ষিত ®