দেখি চেয়ে অবসন্ন চোখে চেতনার গোধূলি বেলায়,
শরীর আমার ভেসে যায় কালো কালিন্দীর স্রোতে।
নিয়ে নির্বাক অনুভূতিপুঞ্জ নিয়ে তার বিচিত্র বেদনা,
চিত্র করা আচ্ছাদনে আজন্মের স্মৃতিকে করে সঞ্চয়।


বাঁশিখানি নিয়ে হাতে তার দূর হতে দূরে যেতে যেতে,
ম্লান হয়ে যায় তার মধুময়ী রূপ।
পরিচিত নদীর তীরের বাঁকে বাঁকে এসে,
গভীর তুরুচ্ছায়া আলিঙ্গিত লোকালয়ে ক্ষীণ হয়ে আসে।
সন্ধ্যা আরতিধ্বনি ঘরে ঘরে বাজে,
রুদ্ধ হয় সকল দ্বার একে একে।  
ঢাকা পরে দ্বীপশিখা,
খেয়ানৌকা বাঁধা পড়ে ঘাটে
দুই তটে-ই ক্ষান্ত হয় তখন পারাপার।

যখন ঘনায় রজনীর নীরবতা
বিহঙ্গের মৌনসুর বেজে উঠে অরণ্যের শাখায় শাখায়
মহানিঃশব্দের পায়ে লিখে তার সকল আত্মবলির গল্প  
এককৃষ্ণের অরূপ ধরে নামে বিশ্ববৈচিত্র্যের পাঁজরে  
স্থলে যায় ছায়া হয়ে বিন্দু হয়ে মিলে যায় রাতের শরীরে  
অন্তহীন তমিস্রায় নক্ষত্রবেদীর নিচে এসে
স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে উর্ধ্বে চেয়ে জোড়হাতের প্রার্থনায়।

যে পূষন্য সংহরণ করিয়াছে তার রশ্মিজাল
এবার প্রকাশ করো তোমার কল্যাণতম রূপ
এখন দেখি তারে একবার নয়ন ভরে
যে পুরুষ অজস্র মানুষের ভীড়েও এক অনন্য।
কপালের ভাঁজে, চোখের অশ্মী তারকায়
যে দৃষ্টিপথে উড়ে যায় অজস্র সারস ধরণীর বুক ছিন্ন করে।
___________________
রচনা: আলোকিত সন্ধ্যা ৬.৩৫ মিনিট
১৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ  
৫-এ ফাল্গুন ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
১৭-ই রাজাব ১৪৪৩ হিজরী  
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে  
©️ Copyright সংরক্ষিত ®