আমি কাঁদবো না আর কখনোই অহেতুক আলোর সন্ধানে
কাঁধে দিনভর বসে নির্বিকার একঝাক কালো কাকের দল
মাথা ঠুকরিয়ে মগজ খেয়ে চলেছে আমার অবিরত।  
কাকের ঠোঁটে লেগে থাকা শাদা মগজ কী দারুণ রক্তোজ্জ্বল!
ঠিক ইরাকের যুদ্ধে ধ্বংস রক্তাক্ত রাজপথের মত
আর কতো অদ্ভুত নিরবতার গন্ধ লেগে আছে সেখানে
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে নিজের মাথা নিজেই চিবিয়ে খাই
যেমন মুসলিমবিশ্বের তাজামগজ ভুনা করে খায় ইসরায়েলি সেনা।


একটু আঁধার হলেই কতকগুলো নেংটে ইঁদুর
আমার হৃদপিণ্ডটাকে পরিত্যক্ত শুকনো রুটি ভেবে
কেটে যায় অবিরত তাদের দাঁত আর নখ দিয়ে
তখন থাকে খুবই ব্যস্ত ঠিক পশ্চিমাদের রক্তাক্ত জিহ্বার মতো।


আজ রাতে হয়তো আর উঠবে না চাঁদ
গতকাল কৃষ্ণপক্ষের একফালি চিকণ চাঁদ ভয়ে লুকিয়েছে মুখ
হয়তো তার মনোরম জ্যোৎস্নায় ভাসবে না মানুষ
অমানিশার অন্ধকার কালো পতাকা উড়াবে পৃথিবীর বুকে
তারপর আঁধারের বিজয় উৎসব চলবে সারারাত
যেমন ধর্ষিতার কান্নায় পুলকিত হয় জাতিসংঘের অন্ধ চোখ।


অনুষ্ঠান শেষে অন্ধকারগুলো একসময় হিংস্র ডাকাতের মত
ঢুকে যাবে সব ক’টা অলস করোটির দরজা ভেঙ্গে
তারপর তার আলোমাখা সবুজ সাহসী মগজ আয়ুষ্কাল ব্যাপী
বের হয়ে নগ্ন গুহায় অন্ধকারের হাতে করবে সোপর্দ
যেখানে অবিলম্বে তার শেষ আলোটুকু শুষে নিয়ে নির্দ্বিধায়
উল্লসিত হবে মার্কিনী ধর্ষকামী নারী।


এরপর হবে চারিদিকে খুব অন্ধকারের জয়জয়কার
হবে অন্ধকারময় প্রতিটি শুভ দিনের সূচনা  
অন্ধকারের জন্য প্রশস্থ হবে পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ
ঈশান অগ্নি বায়ু নৈঋত ঊর্ধ্ব অধো-দশদিক
বস্রমুক্ত মানব সভ্যতা দেখে আর কোন চোখ হবে না ক্লান্ত
আঁধারের উষ্ণ আলিঙ্গনের মৌন পরশে হাসবে জীবন।

তাই আমি আর কাঁদবো না কখনোই অহেতুক আলোর সন্ধানে।
আর কখনোই কাঁদবো না,
কখনোই না।
_______________
রচনা: তপ্ত দুপুর ২.২৫ মিনিট
৬ মে শুক্রবার ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ  
২৩- এ বৈশাখ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
৫-ই শাওয়াল ১৪৪৩ হিজরী  
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে  
©️ Copyright সংরক্ষিত ®