কাল রাতে প্রায় তিনটার দিকে স্বপ্নে দেখি
আমার সামনে আছে আমার ত্রিশটি বছর
হিসাব নিকেশের খাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে।


এতটা পথ অজান্তে মনের স্রোতের টানে এসেছি ভেসে
শব্দহীন কাতর জীবন মাঝ হৃদয়ে কুসুম তবু অশেষ
কামনা বাষ্প নিয়ে দু'চোখে,
দেখি তোমার হাতের মুঠোয় আমার জীবন
আমার সংসার আমার কবিতা গান, গল্প
আরো কত কি, কিছুই রেখেছ আঁচলে বেঁধে  
কিছু অধর কোনে বিম্বিত যেন বিচিত্র
কারুকাজ আলপনায়।


আমি তোমাকে বসতে বললাম
দারুন উত্তপ্ত তখন শরীর নিবিড়
ছায়া তোমার স্পর্শ করে গেল, তুমি তাকিয়ে
আছো, যেন মুক বধির অজন্তা মূর্তির মতন.
আমি তোমাকে আরো কাছে এসে বসতে বলতেই
তুমি  চিরায়ত সেই মধুর হাসি হাসলে
বললাম,কতদিন দেখিনি এহাসি।


তুমি চলে যাবে যানি অজানায়
হাসি টুকু রেখে যাও আমার কাছে
এবার তুমি আরো কাছে আসলে
জ্যোত্স্না যেমন গলে গলে পরে হেমন্তের  শেষে
তেমনি করে ঝরালে হাসি বুকের ভিতর।


হঠাৎ করে দুয়োরানী বলে দিলে নিজের পরিচয়
আমি কেঁদে উঠি তুমিও পালাও
পালায় স্বপ্ন সব হিসাব নিকাস ভবিষ্যতের
চিত্কার করে বলি তুমি যেও না এভাবে  
তুমি যে রানী আমার ভিখারী মনের