গতকাল তোমার চিঠি পেলাম
কবে যে তোমার শেষ চিঠি পেয়ে ছিলাম
এবং তার উত্তর দিয়েছিলাম সেটা আজ মনে পরছে না।
মন আজকাল অনেক প্রতারণা করে
এই আছি এই নাই ভাব
কেমন সব লুকোচুরি খেলে
বালিকা শিশুদের কানা মাছি খেলার মত
তুমি জানতে চেয়েছ, কেমন আছি, কোথায় আছি,
জানতে যখন চেয়েছ,শোন আমি আছি সেই পরিত্যক্ত দালানে
যার যেখানে সেখানে চুন সুরকি ঝরে গেছে,
লাল ইট দাঁত বের করে বিদ্রুপের হাসি হাসে,
দালানের শরীরের গর্তে বেঁধেছে বাসা অনাহুত অতিথি
চড়ুই বাবুই চিলে কোঠায় পায়রা কবুতর,ঘুঘু
তার উপরে আবার তক্ষক সাপ
জানালা গুলো খুলে গেছে তুমি যাবার ক'দিন পরেই
বেশি দিন তো ছিলে না কাছে,
তবু সামনের গোল চত্বরে যে কটি লাগিয়েছিলে ফলবান বৃক্ষ,
তাতে এখন ফল ধরে বেশ রসালো
ঠিক তোমার ষোলো বত্সরের যৌবনের মত,
ভিতরে লাগিয়েছিলে ফুলের বাগান
বেশ গন্ধ মদিরে জড়িয়ে রেখেছে আমাকে,
খোলা জানালা দিয়ে কখন যে এসেছিল চোর
একাকী নির্জন রাত দুপুরে,
তখন ছিলাম আমি তোমার লাগানো বাগানে বসে,
ছিল না কিছুই চুরি করার তাই দরজাটি খুলে নিয়ে গাছে,
সেখানে এখন ঝুলানো পাটসুতোর পর্দা,
চোখে পড়ল বিশেষ দ্রষ্টব্য তুমি নাকি আছ এই শহরেই
ঠিকানাটিও লিখেছ তেমনি স্পষ্ট করে
এই তো বেশি দূরে নয় প্রাচীরের ওপাশেই
এখন গভীর রাত না হলে গিয়ে বলতাম
দেয়ালের এপারে এসো.আর থেক না দূরে
আমরা সেই পুরাতন দু'জন নাহয় থাকি পাশাপাশি,
সময় পেলে কাল চলে এসো,আজ রাত ভর কোন কাজ নেই
হাতের কাছে আছে গাঁইতি শাবল,এখনি সরাবো দেয়াল,
কাল ভোরে তুমি চলে এসো,আমার সেই ভাঙ্গা দালানে,
রইবো কাছাকাছি পাশাপাশি নীবিড় আলিঙ্গনে।