কত যুগ ধরে কে যেন ডাকে আমায় একান্ত আপন সুরে
চিনি না তারে দেখিনা তারে সে যে থাকে অজানা মনের ঘরে
কখনো কখনো চোখের পাতায় ভেসে উঠে বর্ণিল স্বপ্ন হয়ে
ক্লান্ত দিবসে আমায় হাতছানি দেয় অসীম মমতা নিয়ে।


বর্ণিল প্রজাপতির অনাবিল হাসির সুর রাঙা আলোর প্রভাতে
আমি শুনি গানে গানে বাঁধন ছেঁড়া অঢেল প্রেমের স্রোতে
আমার সকল কাজের ভিড়ে আমার মনের আঙিনাতে
অন্তর সে রাঙায় আবির মেখে কুঞ্জবনের চির বসন্তে।


কখনো ভোরের কুয়াশা হয়ে ঝরে আমার উঠোন পাতে
এখনো তাকে খুঁজে পাই আমি নিবিড় গোধূলি সন্ধ্যা বেলাতে
আবার নিভৃত আঁধারে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে নয়ন নীড়ে
মধ্য রাতের শশি হয়ে আছে হিজল পাতার ভিড়ে।


মেঘলা আকাশের মেঘ হয়ে আসে আমার জানালায় নীরবে
স্নিগ্ধ প্রভাতে মনোরম বাতাসের ঐ মুখরিত কলরবে ভেসে
রূপালী আলোর জোনাকি ঝাঁকে কখনো মিটি মিটি জ্বলে
হৃদয় আমার আঁধার রাতে তপ্ত মোম আলোতে গলে।


কখনো দেখি তুমি ভেসে বেড়াও শ্রাবণ জ্যোৎস্না গগনে
কদম ফুলের সুরভিতে হাসো বর্ষার অঝোর ঝরা ক্ষণে
বর্ণিল আভায় ফিরে এসো এই শিমুল বকুল শাখে
হৃদয় মালঞ্চে পূর্ণিমার চাঁদ রূপে আমার এই বুকে।
______________
০৫/০৯/১৬.....এথেন্স,গ্রীস
© Copyright সংরক্ষিত ®